পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলটির সাঁকতোড়িয়া বাজার এলাকায় সুশীল আগরওয়াল নামে এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর বাড়িতে রবিবার রাত একটা নাগাদ তিনজন দুষ্কৃতী ঢোকে৷ তিনতলা বাড়িটি রং করার জন্য ঘরের পিছনে বাঁশ বাঁধা হয়েছিল। সেই বাঁশ দিয়েই তিনজন দুষ্কৃতী ঘরের ভেতর ঢোকে বলে CCTV থেকে জানা গিয়েছে। এরপর ব্যবসায়ী সুশীল আগরওয়ালের শোওয়ার ঘরে ঢুকে বন্দুক দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে মূল্যবান সামগ্রী ও টাকা পয়সা লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। বাড়ি থেকে নগদ টাকা, সোনার গয়না ও মূল্যবান জিনিস সহ কয়েক লাখ টাকার সামগ্রী ডাকাতি হয়েছে বলে খবরে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘটনার কথা জানতে পেরে ব্যবসায়ীর ছেলে চিৎকার করলে, তাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা৷ তার পেটে একটি গুলি লেগেছে। তাকে দুর্গাপুরের (Durgapur) বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ বর্তমানে সে সেখানেই চিকিৎসাধীন৷ তবে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে৷ এক স্থানীয় বাসিন্দা তথা তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক প্রেসিডেন্ট বিমল আচার্যর দাবি, ‘‘একটি বাড়িতে লুঠপাট চালানো হয়েছে৷ মারধর করে গুলি চালানো হয়েছে৷ গৃহকর্তার ছেলের পেটে গুলি লেগেছে৷ খবর পেয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আসেন৷’’ তাঁর দাবি, ‘‘এই ধরনের ঘটনা আমাদের এলাকায় আগে কখনও ঘটেনি৷ পুলিশকে অনুরোধ করব যাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে৷ যদি তা না হয়, তাহলে আমরা আন্দোলনে নামব৷’’
ঘটনার তদন্তে গিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার (Police Commissioner Of Asansol-Durgapur) সুধীর কুমার নীলকান্তম বলেন, ‘‘গতকাল রাত একটা নাগাদ সুশীল আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ীর ঘরে তিন দুষ্কৃতী ঢুকেছিল বলে CCTV থেকে জানা গিয়েছে। যা তথ্য মিলেছে, তার ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করছি৷ যেসব জিনিস উদ্ধার হয়েছে, তাতে দুষ্কৃতীরা ডাকাতির উদ্দেশ্যেই এসেছিল বলে অনুমান আমাদের৷ ঠিক কত টাকার সম্পত্তি ডাকাতি হয়েছে, তার সঠিক হিসেব অভিযোগ পাওয়ার পরে জানা যাবে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ঝাড়খণ্ড পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে৷ কারণ এখানে অপরাধমূলক কাজ করে অনেক ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীরা পার্শ্ববর্তী রাজ্যে গা ঢাকা দেয়৷ নাকা চেকিং পয়েন্টগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে৷