তৃণমূলেরই কাউন্সিলার অথচ তাকেই দলীয় কার্যালয়ে বসতে বাধা। এমনকি তিনি যাতে কার্যালয়ে বসতে না পারেন তারজন্য কার্যালয়ের প্রবেশদ্বারে লাগানো হল তালা। বাধ্য হয়ে কার্যালয়ের প্রবেশদ্বারের সামনেই রাস্তার আলোতে চেয়ার টেবিল লাগিয়ে কার্যালয়ে আসা নাগরিকদের পরিষেবা দিলেন কাউন্সিলার। বর্ধমান পুরসভার (Bardhaman Municipality) ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সিমরন বাল্মিকীর অভিযোগ, প্রতিদিনই অফিস খোলা থাকে। তাস খেলা হয়। পার্টি অফিসে পাড়ার বয়স্ক, মহিলারা বিভিন্ন কাজে আসেন। তাস খেলা, আড্ডা মারার বিষয়ে কাউন্সিলর বাধা দেওয়ার কারণেই গোঁসা হয় আরেক গোষ্ঠীর। সেই কারণেই দলীয় কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ।
সিমরন বাল্মিকী বলেন, “কয়েকজনকে আমি তাস খেলা বন্ধ করতে বলেছিলাম। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করেছিলাম তাই পার্টি অফিস বন্ধ করে রেখেছে।” নাম না করে দলীয় একাংশের কর্মীদের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দেন কাউন্সিলার। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতি রবিবার ওই দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন নাগরিক পরিষেবা প্রদানের জন্য আসেন ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। শেষ এক মাস পুজোর মরশুম থাকার কারণে দলীয় কার্যালয়ে আসছিলেন না। গত রবিবার থেকে পুনরায় কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার কথা জানান কাউন্সিলর। তৃণমূলের আরেক কর্মী বলেন, “উনি আসার কথা জানালে আমি কার্যালয়ে চাবি জোগাড়ের জন্য একজনকে ফোন করি। কিন্তু দু’এক জনকে ফোন করলেও তাঁরা চাবি দিতে রাজি ছিলেন না। এরপর আমাকে উনি বলেন, একটা টেবিল চেয়ার জোগাড় করতে। যাতে দলীয় কার্যালয়ের বাইরে বসেই কাজ করা যায়।” কাউন্সিলরের বিরোধিতা করার জন্য আরেকটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে বলে স্বীকার করে নেন কাউন্সিলর। আগামী দিনেও এরকম অসুবিধা হলে বিষয়টা তিনি ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর সিমরন বাল্মিকী।
তবে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীরা। BJP বর্ধমান জেলা কমিটির মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুরোটাই টাকার খেল। মূলত তোলাবাজি নিয়ে ওয়ার্ডের স্বঘোষিত তৃণমূল নেতা শিবশংকর ঘোষের সঙ্গে কাউন্সিলারের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে।” যে কারণে এইরকম ঘটনা বলে দাবি BJP নেতার।