জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার ১৯০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতিটিতেই জাঠা পৌঁছবে৷ পঞ্চায়েত বিভিন্ন দুর্নীতি, ১০০ দিনের কাজ সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছে তারা৷ তাঁদের দাবি, মানুষের ভালো সাড়াও মিলছে৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষই ঠিক করবে কারা থাকবে৷ মানুষ চাইলেই ‘লুটেরা’দের সরিয়ে জনগণের পঞ্চায়েত হবে বলেই দাবি CPIM র বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতির৷
এবিষয়ে CPIM র বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, ‘‘এটা এই মুহূর্তে ভীষণ কার্যকরী৷ দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়তে পঞ্চায়েত নির্বাচনই আসল৷ এখানেই মানুষ ঠিক করে এটা জনগণের পঞ্চায়েত হবে, নাকি লুটেরাদের হবে৷ মানুষ যদি মনে করে লুটেরাদের পঞ্চায়েত পরিবর্তন করে জনগণের পঞ্চায়েত করা যাবে, তাহলে আগামী নির্বাচনের আগে নিশ্চিতভাবে এটাতে একটা বড় প্রভাব পড়বে৷ এই কর্মসূচি শুধু বাঁকুড়া জেলায় নয়, সারা রাজ্যে চলছে৷’’ ফলে এর একটা ইতিবাচক প্রভাব রাজ্যজুড়ে পড়বে বলেই দাবি তাঁর।
১০০ দিনের বকেয়া কাজ নিয়ে অজিত পতি বলেন, ‘‘রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ, কিন্তু লুটেরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গরিব মানুষকে বঞ্চিত করে পুরো প্রকল্পটাই বন্ধ করে দিয়েছে। এমনকি গ্রামসভার বৈঠক হয় না, মানুষকে কিছুই জানানো হচ্ছে না। এর পরিবর্তন দরকার।’’ সাধারণ মানুষের স্বার্থে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন বলে তিনি জানান। ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে CPIM ফের ময়দানে নেমেছে তা বলাই বাহুল্য৷ রাজনীতির অন্দরে ইতিমধ্যেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে CPIM র গণ সংগঠন খেতমজুর ইউনিয়নের উদ্যোগে জাঠা মিছিল৷