ডে-র সহ-সভাপতি, ডায়াবিটিস বিশেষজ্ঞ সুজয় মজুমদার বলছেন, ‘গোটা কলকাতা শহরের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা ধরে নিলে আমাদের আশঙ্কা যে, খুব তাড়াতাড়ি হয়তো কলকাতা ভরে যাবে ডায়াবিটিসে। এবং ডায়াবিটিসের জেরে জন্ম নেওয়া নানা শারীরিক জটিলতার চিকিৎসা আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাছেও একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে। কেননা, ভারত যেমন দুনিয়ার ডায়াবিটিস রাজধানী হয়ে উঠছে, তেমনই কলকাতারও আগামী দিনে দেশের ডায়াবিটিস রাজধানী হয়ে ওঠার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।’ তিনি জানান, আরও স্পষ্ট ছবির জন্য তাঁরা মোট ১০ হাজার উপর সমীক্ষাটি বাড়ানোর কাজ করছেন।
শারীরিক জটিলতা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কার কারণ হলো, এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের রক্তে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মাত্রার সুগার দেখা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ৮০% মানুষই অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবিটিসের শিকার। আক্রান্তদের মধ্যে যে ৫৪% মানুষ জানেন যে তাঁদের ডায়াবিটিস আছে, এঁদের মধ্যেও মাত্র ৩০% মানুষ ডায়াবিটিসের চিকিৎসা করান নিয়মিত। ফলে বেশির ভাগেরই নিয়ন্ত্রণে নেইযার জেরে ডায়াবিটিকদের মধ্যে প্রায় ৪০% রোগী ছোট-বড় নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। এর মধ্যে রয়েছে হার্ট, নার্ভ, কিডনি ও চোখের সমস্যা, এমনকী ব্রেন স্ট্রোকও। ডে-র সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ মজুমদার বলেন, ‘আমাদের সমাজে ডায়াবিটিস সম্পর্কে উদাসীনতার লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে এই সমীক্ষার অন্তবর্তী রিপোর্টে। সচেতন হতে না-পারলে এক ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে।’