পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতো রবিবার রাতে মা ও মেয়ে খাওয়া সেরে একটাই ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন। হঠাৎ গভীর রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁদের ঘরে ঢোকে এবং মা ও মেয়েকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, দু’জনের কান থেকে সোনার অলংকার ছিনিয়ে নেয় দুষ্কৃতী। বাধা দিতে যান মেয়ে রুলেখা বিবি৷ তখনই তাঁর ডান কান দুষ্কৃতীরা পুরোপুরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নেয়। মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয় বলেও দাবি৷
সেসময় পাশের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন নূরেসা বেওয়ার ছেলে মহম্মদ তাসের উদ্দিন৷ তাঁর ঘরের দরজা বাইরে থেকে দুষ্কৃতীরা আটকে যায় বলে অভিযোগ। ফলে আওয়াজ পাওয়া সত্ত্বেও তিনি বাইরে বেরতে পারেননি বলেই দাবি৷ এরপর মা ও মেয়ের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। তার আগেই দুষ্কৃতীরা সেখান থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। তড়িঘড়ি দু’জনকেই চিকিৎসার জন্য প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁদের মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Malda Medical College Hospital) চিকিৎসাধীন মা ও মেয়ে।
মহম্মদ তাসের উদ্দিন বলেন, ‘‘আমি রাতে একটা ঘরে ঘুমোচ্ছিলাম আর আমার মা-দিদি অন্য ঘরে ছিল৷ দুষ্কৃতীরা ঢুকে আমার ঘর বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল ৷ রাতে দুষ্কৃতীরা এসে ওদের কান ছিঁড়ে সোনার অলংকার নিয়ে গিয়েছে৷ সঙ্গে দিদির কান ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নিয়েছে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মাথায়ও আঘাত করেছে৷ তবে টাকাপয়সা আর কিছু নিয়ে গিয়েছে কিনা এখনও জানি না৷ পুলিশকে জানানো পর আধিকারিকরা এসে দেখে গিয়েছেন৷’’ তবে কতজন দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে তা জানেন না বলেই দাবি মহম্মদ তাসের উদ্দিনের৷
কেটে নিল দুষ্কৃতীরা!