রাস উৎসব সম্পর্কে শ্রীমন্ত গরানি জানান, উলুবেড়িয়ার এই রাস উৎসবে প্রতিদিন হাওড়া জেলার পাশাপাশি আশেপাশের জেলা থেকে প্রচুর মানুষ ভিড় জমায়। তিনি বলেন, “রাসে আসা মানুষদের নিরাপত্তার জন্য সিসিটিভি বসানো হয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছাড়াও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে। পানীয় জল, মেডিকেল টিমের পাশাপাশি অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা হয়েছে।” শ্রীমন্ত গরানি জানান, রাস চলাকালীন উলুবেড়িয়া শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনে অনুরোধ করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস, ভাইস চেয়ারম্যান ইনামুর রহমান, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক তথা শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালীমাতা সংস্থার সভাপতি শমীক কুমার ঘোষ, উলুবেড়িয়ার এসডিপিও রাঘব এস, কালীমাতা সংস্থার সম্পাদক রঘুনাথ দে, সহ সম্পাদক শ্রীমন্ত গরানি,অন্যতম সদস্য গৌতম বোস সহ অন্যান্যরা।
দুর্গাপুজো, কালী পুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোর পর এবার রাস উৎসবে মেতে উঠেছে উলুবেড়িয়া বাসী। শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরের রাস উৎসব দর্শনার্থীদের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ। হাওড়া উলুবেরিয়া শহরের শতাব্দী প্রাচীন বিখ্যাত কালী মন্দির। গঙ্গা তীরে ১৩২৭ বঙ্গাব্দে ১৭ই বৈশাখ শুক্লা ত্রয়দশী তিথিতে নদীর তীরে আনন্দময়ী কালী মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎকালীন মহকুমা শাসক যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শরৎচন্দ্র ধারার উদ্যোগে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। কালী বিগ্রহের পদতলে শ্বেতপাথরের তৈরি সব আসনে শায়িত শিব।
মা এই মন্দিরে তিনটি রূপে পূজিত হন, সাত্ত্বিক রাজশ্রী ও তামসিক। মা পূজিত হন তন্ত্র এবং বৈদিক দুটি মতেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন হাজারো ভক্ত মাতৃ মন্দিরে হাজির হন, এই মন্দিরে নেই কোন জাত ধর্মের ভেদাভেদ, সমস্ত ধর্মের সমন্বয়ে উজ্জ্বল ক্ষেত্র। প্রতিদিন মায়ের ভোগ নিবেদন করা হয় খুব সাধারণ ভাত, ডাল, তরকারি, পরমান্ন সহ বিভিন্ন পদ। রাস উৎসব ছাড়াও মন্দিরে অমাবস্যা, ১লা বৈশাখ, দুর্গা পুজোর, রান্না পুজো, ঝুলন যাত্রা পালিত হয়।