জানা গিয়েছে, জামুড়িয়ার আখলপুর গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দা তাঁদের জমির বদলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় একটি বেসরকারি স্পঞ্জ আয়রন ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষকে জমি প্রদান করেন বলে দাবি৷ তাঁদের দাবি, প্রায় ৩০ জনকে চাকরি দেওয়ার কথা ছিল কর্তৃপক্ষের। যদিও সেই চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কর্তৃপক্ষ রাখেনি বলেই দাবি৷ আরও দাবি, কয়েক মাস ধরে তাঁরা গ্রামবাসীদের কাজের বদলে মাসিক টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইদানীং সেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ৷ ফলে বিক্ষোভকারীরা গত দশ দিন ধরে তাঁদের দাবি আদায়ের জন্য ফ্যাক্টরি গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।
মঙ্গলবার বিক্ষোভ চলার সময় হঠাৎই বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ফ্যাক্টরির ভেতর থেকে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ৷ আর এই ঘটনার পরই বিক্ষোভকারীরাও ফ্যাক্টরি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে বলেই জানা গিয়েছে। এই ঘটনা লক্ষ্য করেই পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মৃদু লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয় বলে জানা যায়৷ যদিও বিক্ষোভকারীদের দাবি, পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে সরিয়ে দেওয়া নয়, তাঁদের ওপর বেপরোয়াভাবে লাঠিচার্জ করেছে৷ মহিলাদেরও মারধর করা হয়েছে বলেই দাবি তাঁদের।
এই ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে৷বিক্ষোভকারীদের দাবি, ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের মার খেতে হয়েছে৷ পুলিশ এদিন তাঁদের ব্যাপক মারধর করেছে বলেই দাবি বিক্ষোভকারীদের৷ যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মৃদু লাঠিচার্জ করা হয়৷পরে ঘটনাস্থলে যান জামুড়িয়ার বিধায়ক হরেরাম সিং। তিনি আন্দোলনকারীদের পক্ষেই আছেন বলে দাবি করেন।