এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এল তমলুকে। এলাকার রেগুলেট মার্কেট তথা শহিদ মাতঙ্গিনী স্বদেশী বাজারের সরকারি বইয়ের গোডাউনে গিয়ে যে দৃশ্য দেখা গেল তাতে চক্ষু চড়কগাছ। নতুন বইয়ে ঠাসা গুদামে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছাগলের দল। কেউ চোখ বুজে আরামে চিবোচ্ছে সহজ পাঠের দ্বিতীয় ভাগের সঙ্গে গণিত প্রকাশ। ইতিউতি পড়ে আধ চিবনো নতুন বই, বিষ্ঠা মাখা বইয়ের বান্ডিল। বই ঠাসা গুদামে নতুন বইয়ের বদলে বাতাস ভারি ছাগলের মল-মূত্রের বোঁটকা গন্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বইয়ের গোডাউনের যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি এই ছাগলগুলি এই গোডাউনে রেখে বাজারে বিক্রির জন্য পাঠান। সেই ছাগল বইও খাচ্ছে আবার তার বইয়ের বান্ডিলের মধ্যে মলমূত্র ত্যাগ করছে। এই ছবি সামনে আসতেই শোরগোল। প্রতিবাদে সরব স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের কটাক্ষ, পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থাকে গোল্লায় পাঠিয়ে দিয়েছে তৃণমূল (Trinamool Congress)। ছাগল মালিকের থেকে কাটমানি খেয়ে সরকারি বইয়ের গুদামে ছাগল রাখতে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই মূত্র-বিষ্ঠা মাখা বই যাবে ছাত্রছাত্রীদের হাতে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা (BJP) সুকান্ত চৌধুরী।
এই অভিযোগের জবাবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দিবেন্দু রায় (Dibyendu Roy) বলেন, বইয়ের পাশে এভাবে ছাগল রাখা ঠিক নয়। এটা কেন হবে তদন্ত করে দেখতে বলব সেক্রেটারিকে। সব মিলিয়ে বই চিবিয়ে বিদ্বান ছাগল নিয়ে তরজা তুঙ্গে।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।