Firhad Hakim On Akhil Giri : রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির কুরুচিকর মন্তব্য নিয়ে ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) বলেন, “রাষ্ট্রপতি এত উপরের মানুষ যে তিনি ব্যাপারটা ক্ষমা করবেন।”
হাইলাইটস
- রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে অখিল গিরির মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ খুললেন ফিরহাদ
- আদিবাসী সমাজের মহিলাকে রাষ্ট্রপতি করার জন্য ফিরহাদ হাকিম ধন্যবাদ জানান কেন্দ্রীয় সরকারকে
- অখিলের মন্তব্যের জেরে এখন শাসক দল ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে বলে দাবি বিরোধীদের
অখিল গিরিকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ
অখিল গিরিকে ফের নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার মেয়র (Mayor Of Calcutta Corporation) ফিরহাদ হাকিম বলেন, ” যা আদালত দিচ্ছে দিক। এনিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন যে, একটা মানুষ তিনি একটা বিরাট অন্যায় করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে সেজন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন। আর আমি বিশ্বাস করি যে রাষ্ট্রপতি এত উপরের মানুষ যে তিনি এই ব্যাপারটা ক্ষমা করবেন। কারণ ক্ষমাই পরম ধর্ম।” তাঁর সংযোজন, “একটা মানুষ বলেছেন, অন্যায় করেছেন। আমরা গর্বিত যে দ্রৌপদী মুর্মু আমাদের রাষ্ট্রপতি। তাঁর অপমান আমাদের প্রত্যেকের অপমান।”
আদিবাসীদের অধিকারের জন্য লড়াই
আদিবাসীদের হয়ে তিনি এদিন দাবি করেন, “আদিবাসীদের কাছ থেকে জঙ্গলের অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। ভারত সরকারকে বলছি, বনের অধিকার আদিবাসী সমাজকে দিতে হবে। আর তা না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ক্ষতিপূরণের পথ দেখিয়েছেন, সেই পথে তাঁদের উন্নয়ন, তাঁদের চাকরির গ্যারেন্টি, থাকার ব্যবস্থা এই সব উন্নয়ন ভারত সরকারকে করতে হবে।” বিরসা মুন্ডাকে প্রণাম জানিয়ে তিনি বলেন, “তোমার সেই লড়াই আজও শেষ হয়নি৷ কারণ আজও আদিবাসী সমাজের অধিকারের লড়াই চলবে।”
পাশাপাশি এদিন সাঁইথিয়ার ঘটনাকে গ্রামীণ বিবাদ বলে দাবি করে তিনি বলেন, “বাংলায় সবাই তৃণমূল কংগ্রেস করে। তাই কারও জমি বিবাদ, কারও গ্রামীণ বিবাদ এইভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের নামে চালানোটা ঠিক হচ্ছে না। তৃণমূল তৃণমূলে কোনও গন্ডগোল নেই। গন্ডগোলটা গ্রামীণ বিবাদে একটা মানুষের সঙ্গে আরও একটা মানুষের থাকতেই পারে।” জেলাজুড়ে বোমা, অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আশ্চর্যজনকভাবে পার্শ্ববর্তী জেলা বা এলাকাগুলি থেকে অস্ত্রগুলি উদ্ধার হচ্ছে। অর্থাৎ পাশের রাজ্য দিয়ে চক্রান্ত করে অস্ত্রগুলিকে বাংলায় ঢোকানো হচ্ছে। কারণ বাংলার বিরোধী দলের নেতাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই কিছু কিছু সমাজবিরোধী ভাড়া করে বাংলায় রাজনৈতিক দখল পাওয়ার জন্য তাঁরা এই কাজ করছেন। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বলব ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সীমানাগুলিকে সিল করার ব্যবস্থা করতে। নাহলে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিভিন্ন সীমানা দিয়ে অস্ত্র, অপরাধীদের ঢোকাচ্ছে বিরোধী দল। বাংলাকে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ
