Mahishadal Rajbari : নতুন রূপে সেজে উঠছে মহিষাদলের রাজবাড়ি,খুশি পর্যটকরা – mahishadal rajbari renovation work started to attract tourists


নতুনভাবে সেজে উঠছে বাংলার ঐতিহ্য বহনকারী স্থাপত্য মহিষাদল রাজবাড়ি৷ পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) মহিষাদল রাজবাড়িতে ইতিমধ্যেই সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে৷ মহিষাদলের প্রাচীন ভগ্ন রাজবাড়ি, ঠাকুরদালান, লাল বিল্ডিং সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে রাজ্য সরকার ও বিধায়ক তহবিলের টাকায়। মহিষাদলের প্রাচীন রঙ্গীবসান রাজ প্যালেস হেরিটেজ দফতরের তরফে চার কোটি টাকা ব্যয়ে যেমন সংস্কার হচ্ছে, তেমনই মহিষাদলের বিধায়ক (MLA) তিলক কুমার চক্রবর্তীর বিধায়ক তহবিলের ২৩ লাখ টাকায় রাজবাড়ি, ঠাকুর দালান, প্রাচীন লাল বিল্ডিং সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে।

Jhargram Tourism: ঝাড়গ্রাম সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পর্যটকদের বুকিং বাতিলে বিশেষ ছাড়
এলাকার মানুষের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিধায়ক তহবিলের অর্থে কাজ করতে পেরে খুব ভালো লাগছে বলে জানান বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী। প্রাচীন পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে সংস্কার করে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করায় সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পর্যটকরা। হাওড়ার বালি থেকে মহিষাদলে বেড়াতে আসা পর্যটকরা রাজ্য সরকারের কাজে বেজায় খুশি। প্রসংশাও করলেন ঢালাও৷

Raiganj News : দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ, নতুন উপহার রায়গঞ্জবাসীর
বালি থেকে আগত দিলীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজবাড়ি সংস্কারের কাজ হচ্ছে দেখে খুবই ভালো লাগল৷ আগেকার রাজ রাজাদের স্থাপত্য সংরক্ষণের চেষ্টা করা হচ্ছে, সেটাই খুবই ভালো উদ্যোগ৷ এটা পর্যটকদের জন্য খুব আনন্দদায়ক৷’’ এর জন্য রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদও জানান তিনি৷ আর এক পর্যটক দীপালি মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এটা অবশ্যই ভালো, কারণ সংস্কার না হলে সব সংস্কৃতি ধ্বংস হয়ে যাবে৷ রাজ্য সরকারের তরফে বিষ্ণুপুরেও সংস্কারের কাজ হচ্ছে দেখেছি৷’’এক কথায় খুশির হাওয়া পর্যটকদের মধ্যে।

Barasat: ১ টাকায় বিরিয়ানি থেকে মাছ-ভাত, বারাসতে অভিনব ক্যান্টিন ঘিরে শোরগোল
মহিষাদলের বিধায়ক তিলক কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মহিষাদলের আবেগ সুখ্যাতি ধরে রাখার জন্য এটা দরকার৷ দুর্গা মন্দিরের সামনে আটচালা ভেঙে পড়ে যাচ্ছে, টিনগুলো ঝুলছিল, যে কোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটত, ফলে আমি সেগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছি৷ এই প্রাচীন স্থাপত্য সংস্কারের প্রত্যাশা মানুষের অনেক দিন ধরেই ছিল৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিধায়ক তহবিল থেকে ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে৷ রাজবাড়িতে প্রবেশের পথটা অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল, সেখানে পথবাতি লাগানো হয়েছে৷ বেশ কিছু আম গাছ সেখানে রয়েছে, যা আমাদের শান্তিনিকেতনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়, সেসব গাছের গোড়া বাঁধানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ রাজবাড়ি এবং রাজ্য সরকার, দু’ তরফেই পর্যটকদের জন্য কটেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, যাতে তাঁরা এসে এই ঐতিহাসিক স্থানগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন৷’’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *