Mizoram Incident : মিজোরাম (Mizoram Stone Quarry Collapse) পাথর খাদানে ধ্বস নেমে মৃত্যু হল তেহট্টের তিন জন যুবকের। ঠিকাদারি সংস্থার কাজ করতে মিজোরামে গিয়েছিলেন তাঁরা। পাথর খাদান থেকে পাথর আনার কাজ করছিলেন।

হাইলাইটস
- মিজোরাম পাথর খাদানে ধ্বস নেমে মৃত্যু হল তেহট্টের 3 জন যুবকের
- মৃত 3 যুবক মিজোরামের ঠিকাদারি সংস্থায় কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে
- এই দুর্ঘটনায় রাজ্যের 5 জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে
ঠিক কী হয়েছিল?
সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ ওই পাথর খাদানে কাজ করার সময় বেশ কয়েকটি বড় পাথরের চাঁই গড়িয়ে নীচে পড়ে। সেই পাথরের চাঁই এর তলায় চাপা পড়ে যান ওই ১৩ জন। এক শ্রমিকের কথায় পাথর চাপা পড়ার প্রায় চার ঘণ্টা পর উদ্ধার কাজ শুরু হয়। তারপর এখনও পর্যন্ত আটজনের দেহ ওই খাদান থেকে উদ্ধার হয়েছে। প্রথমে জানা গিয়েছিল যে মৃত সকলের বাড়ি বিহারে। পরে জানা যায় আটজনের মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি বাংলায়। তারমধ্যে তেহট্টের তিনজন। একজন চাপড়া ও একজন উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। মঙ্গলবার বেলা দেড়টা নাগাদ ঠিকাদার সংস্থা থেকে প্রতেকের বাড়িতে ফোন করে এই খবর জানানো হয়।
আতঙ্ক ছড়ায় পরিবারে
মিজোরামের ধসের কথা শুনে এদিন সকাল থেকেই ওই তিনজনের বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। সকাল থেকে ওই এলাকায় আস্তে আস্তে মানুষ জমায়েত করতে শুরু করেছিলেন। বাড়িতে পৌঁছন আত্মীয় ও বন্ধুরা। যদিও ওই তিনজনের যে মৃত্যু হয়েছে সেকথা জানতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। তারপর সংবাদ মাধ্যমের খবর থেকে তাঁরা জানতে পারেন যে মিজোরামে ধস নেমেছে। তাতে বাংলার পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর পরিবারের লোকজন আরও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এরপর দেড়টা নাগাদ ঠিকাদার সংস্থা ফোন করে মৃত্যু সংবাদ দেয়।
ঠিকাদারি সংস্থার তরফে খবর দেওয়া হয়
ওই ঠিকাদারি সংস্থাতে কাজ করা স্থানীয় যুবক অমিত মণ্ডলকে সংস্থার পক্ষ থেকে দুপুর নাগাদ ফোন করে জানানো হয়, ওই চারজনের মৃত্যুর খবর। অমিত বলেন, ” ভোরবেলা প্রথম সাইট ম্যানেজার আমাকে ফোন করেন, ওদের নাম করে বলেন ওরা সম্ভবত আর বেঁচে নেই। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত না হয়ে পরিবারে জানাতে পারিনি। সাড়ে দশটা নাগাদ জানানোর পর এই বাড়িতে জানাই। ছুটিতে বাড়ি না এলে আমারও হয়তো একইভাবে মৃত্যু হত। উপায় কি এখানে তো কাজ নেই!” এদিকে এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরই শোকের ছায়া পরিবারে। একই পাড়ার তিনবন্ধু এক সঙ্গে কাজে গিয়ে একসঙ্গে বাড়ি ফিরবেন কফিন বন্দি হয়ে এটাই কেউ মানতে চাইছেন না।
মৃত রাকেশের বাবা কালু বিশ্বাস বলেন, “এখানে কোনও কাজ পাচ্ছিল না বলে ওরা কাজে যায়। ওর জামাইবাবুর সঙ্গে রবিবার শেষ কথা হয়। সেখানে কেমন কাজ হচ্ছে। কেমন খাবার সেই নিয়েও কথা হয়। আজ এই খবর পেলাম।” বুদ্ধদেবের বাবা মধুসুদন মণ্ডল বলেন, “নিজেই ঠিকাদার সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ও কাজে যায়। তারপর আর কোনও কথা হয়নি। আজ ঠিকাদার সংস্থা থেকে খবর পেয়ে জানতে পারলাম যে ও আর বেঁচে নেই।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ