স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার গভীর রাতে CPIM-র পার্টি অফিস (Cpim Party Office) ভাঙচুর করে কিছু দুষ্কৃতী। সোনারপুরে CPIM-র কমিটির কার্যালয়ে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয় জানালা, দরজার কাঁচ, চেয়ার, টেবিল। ছিঁড়ে ফেলা হয় ফ্লেক্স, ফেস্টুন। ভেঙে ফেলা হয় শহিদ বেদীও। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় নরেন্দ্রপুর থানায়। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। CPIM-র অভিযোগ, শাসক দলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। অবিলম্বে দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব স্থানীয় CPIM নেতৃত্ব।
CPIM নেতৃত্বের দাবি, নভেম্বর বিপ্লব কর্মসূচির কারণে এলাকায় পতাকা লাগানো, প্রচার কাজ চলেছে গত কয়েকদিন ধরে। সেই কর্মসূচির প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই এলাকার স্থানীয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ। সোনারপুর CPIM-র এরিয়া কমিটির সদস্য অম্লান দত্ত বলেন, “ঘটনাটা যখন ঘটে, তখন আমরা কেউ ছিলাম না। আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা আমাদের ভাঙচুরের খবর দেন। এলাকার কিছু দুষ্কৃতীরা এখানে মদ্যপান করে, এলাকার বাসিন্দাদের উত্যক্ত করে। তারাই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে আমাদের জানানো হয়। ওই দুষ্কৃতীরা শাসক দলের সঙ্গে যুক্ত। তাদের মিটিং, মিছিলে যায়।”
সোনারপুর CPIM এক নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক মনোরঞ্জন মণ্ডল বলেন, “আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন, কিভাবে এলাকার কিছু দুষ্কৃতীরা আমাদের কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। শহিদ বেদী ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনও একটা রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় না থাকলে এসব করার সাহস কেউ পায় না। আমরা সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে বলছি। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
তবে, ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। ২৯ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, “যে কোনও রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে এরকম ভাঙচুরের ঘটনা যথেষ্ট নিন্দনীয়। আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। তবে একটি ভগ্নপ্রায় দলের উজ্জীবিত হওয়ার জন্য, নাকি তাঁদের দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এই ঘটনা কিনা আমরা জানি না। আমি চাইব, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হোক।”