বুধবার বাঁকুড়ার এক্তেশ্বরের একটি বেসরকারি লজে দলের বাঁকুড়া (Bankura) ও বিষ্ণুপুর (Bishnupur) এই দুই সাংগঠনিক জেলার যৌথ বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠক হয়। এই বৈঠকের পরেই সাংবাদিকদের এই নতুন উদ্যোগের কথা জানান বাঁকুড়ার BJP সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার (Dr. Subhas Sarkar)। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি যেভাবে রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেছেন, তারপরেও মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে কোনও কথা বললেন না। তাঁকে বরখাস্ত করা উচিত ছিল। ওঁর তো লজ্জায় পদত্যাগ করা উচিত ছিল। আমরা সমস্ত আদিবাসী মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে রাষ্ট্রপতির দ্রৌপদী মুর্মুর ছবি পৌঁছে দেব। তাঁদের মনের ব্যাথার জন্য আমরা তাঁদের কাছে পৌঁছচ্ছি।”
আদিবাসী সমাজের এই অপমানকে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে BJP-র অন্যতম প্রচার ইস্যু হবে বলে জানিয়েছেন BJP সাংসদ। প্রচার পর্বে আদিবাসী সমাজের প্রতি রাজ্য সরকারের ‘বঞ্চনা’র কথা তুলে ধরা হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, রাজ্যকে দুষে এদিন তিনি দাবি করেন, রাজ্য জমি দিচ্ছে না বলেই বাঁকুড়ায় ‘ট্রাইব্যাল ইউনিভার্সিটি’ করতে চাইলেও তা করা যায়নি। এমনকি একই কারণে একলব্য স্কুলও করা যায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরের BJP সাংসদ সৌমিত্র খাঁও (Soumitra Khan)। আগামী দিনে আদিবাসী অধ্যুষিত বাঁকুড়ার জঙ্গল মহলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্ম্মুকে (Draupadi Murmu) আসার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানান BJP সংসদ। একই সঙ্গে আদিবাসীদের অনুন্নয়নই যে এবার পঞ্চায়েত ভোটে ইস্যু হবে সে ব্যাপারে সুভাষ সরকারের সঙ্গেই সুর মেলান সৌমিত্র। BJP-র বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর এই দুই সাংগঠনিক জেলার যৌথ বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডাঃ সুভাষ সরকার, সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ছাড়াও উপস্থিত আছেন দলের রাজ্য পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, সাংসদ ও রাঢ় বঙ্গ পর্যবেক্ষক লকেট চট্টোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো সহ অন্যান্য BJP নেতৃত্ব।
