অভিযোগ, বাড়িতে এসেই অতর্কিতে শ্যালক দিলীপ দলুইকে গুলি করে সে। গুলি তাঁর পেটে লেগেছে। ঘটনার পরই অভিযুক্ত চিন্ময় গা ঢাকা দেয়। গোটা ঘটনায় দিলীপের পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। সাথে সাথে গুরুতর আহত দিলীপকে আরামবাগ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় পরে তাঁকে কলকাতার পি.জি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহত দিলীপের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, চিন্ময়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত। কোতুলপুর থানার পুলিশ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। কী কারণে এই হামলা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
দিলীপের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপের বোন মৌসুমী মালিকের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে অভিযুক্ত চিন্ময়ের। মৌসুমী মালিকের দাবি, ডিভোর্সের মামলা চলার কারণে পুরো পরিবারের উপর রাগ ছিল চিন্ময়ের। এর আগেও দিলীপকে মেরে দেবে বলে হুমকি দিয়েছিল চিন্ময় বলে দাবি মৌসুমীর। দীর্ঘদিন তাঁদের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ রয়েছে বলেই এরকম ঘটনা ঘটানো হল বলে দাবি দিলীপের পরিবারের।
মৌসুমী বলেন,“ রাত সাড়ে ন’টার সময় আমার দাদাকে চিন্ময় মালিক গুলি করে দিয়ে চলে গিয়েছে। চিন্ময় আমার স্বামী ছিল। আমাদের ডিভোর্স এখনও হয়নি। তবে মামলা চলছে। এর আগেও আমার দাদাকে মেরে দেবে বলে হুমকি দিয়েছিল।” পুরো ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গুলি চালনার ঘটনায় আতংকিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। অভিযুক্ত চিন্ময়ের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।