Botanical Garden : বটানিক গার্ডেন তলিয়ে যাবে গঙ্গার গর্ভে? উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা – shibpur botanical garden gradually sinking due to ganges erosion


তাপস প্রামাণিক
গঙ্গার ভাঙনে ক্রমে তলিয়ে যাচ্ছে শিবপুর বটানিক গার্ডেন (Shibpur Botanical Garden)। ভূমিক্ষয়ের কারণে কয়েকশো গাছ চলে গিয়েছে নদীগর্ভে। গোড়ার মাটি আলগা হয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় বেশ কিছু গাছের অস্তিত্ব বিপন্ন হতে বসেছে। ভাঙন ঠেকাতে না পারলে আগামী দিনে বটানিক গার্ডেনটাই বাঁচানো কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গঙ্গার ভাঙনে ২০০ বছরের পুরোনো শিবপুরের এই জাতীয় উদ্যান কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠিয়েছেন গার্ডেন কর্তৃপক্ষ। তাতেই উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমীরা।আচার্য জগদীশ চন্দ্র বোস ইন্ডিয়ান বটানিক গার্ডেনের প্রধান তথা বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার যুগ্ম অধিকর্তা দেবেন্দ্র সিং ‘এই সময়’কে ফোনে বলেন, ‘গঙ্গার ভাঙন নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রককে জানানো হয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব শিবপুর বটানিক গার্ডেনে এসেছিলেন। নিজেই সব দেখে গিয়েছেন।’

Kuno Cheetah Latest News : নতুন বন্ধুদের পেয়ে জমাটি আড্ডা, এরিয়া ডমিনেশন শেখাচ্ছে ফ্রেডি-এল্টন
বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (Botanical Survey Of India) আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বটানিক গার্ডেনের একদম ধার দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা। এর বেশ কিছুটা অংশ পড়ছে কলকাতা বন্দরের অধীনে। বাকি অংশের দেখভালের দায়িত্বে বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এখান থেকেই নদী বাঁক নিয়েছে। ফলে স্রোত সরাসরি ধাক্কা খায় গার্ডেনের পাড়ে। তা ছাড়া, ওই এলাকা দিয়ে সব সময়েই চলাচল করে জাহাজ, লঞ্চ-সহ অন্য জলযান। তার জেরে নদীতে তৈরি হওয়া বড় ঢেউগুলিও আছড়ে পড়ে পাড়ে। এতে বি গার্ডেন এলাকায় ভাঙন আরও তীব্র আকার নিচ্ছে। দেবেন্দ্র জানান, ভাঙন ঠেকাতে গার্ডেন লাগোয়া নদীর পাড়ে ম্যানগ্রোভ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু সেই গাছ বড় হওয়ার আগেই নদীগর্ভে চলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক কী পদক্ষেপ করে, সে দিকে তাকিয়ে গার্ডেন কর্তৃপক্ষ।

Arunachal Pradesh : হঠাৎ কর্দমাক্ত সিয়াং নদীর জল, চাঞ্চল্য অরুণাচলে
শিবপুরের এই জাতীয় উদ্যানের আয়তন ২৭৩ একর। বর্তমানে সেখানে ১৪০০ প্রজাতির প্রায় ১৭ হাজার গাছ আছে। ১৭৮৮ সালে কর্নেল কিড এই উদ্যান প্রতিষ্ঠা করেন। এখানেই রয়েছে ২৭০ বছরের পুরোনো বটগাছ। গঙ্গার ভাঙন থেকে এই ঐতিহাসিক উদ্যান রক্ষার ব্যাপারে সরকারের তেমন তাগিদ চোখে না পড়ায় বিস্মিত পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তিনি বলেন, ‘শিবপুর বি গার্ডেন শুধু পশ্চিমবঙ্গের নয়, দেশবাসীর কাছে গর্বের। সেটা যাতে কোনও ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তা নিশ্চিত করা দরকার। যাদের এটা দেখার কথা, তারা কী করছে?’

Kuno Cheetah : কুনোর চিতাদের ডেরায় ‘নতুন বন্ধু’, জঙ্গলে রোমহর্ষক মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি বনকর্মীর
উলুবেড়িয়া বটানিক্যাল ইনস্টিটিউটের (Uluberia Botanical Institute) সম্পাদক তথা উদ্ভিদ গবেষক আক্রামুল হক বলেন, ‘শিবপুর বটানিক গার্ডেন একটা অমূল্য সম্পদ। মালদহ, মুর্শিদাবাদে নদী ভাঙনের ভয়াবহতা আমরা দেখেছি। বি গার্ডেনের যাতে সেই দশা না হয়, সে জন্য আমরা বটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তাকে চিঠি দিয়েছি। এর পরেও পদক্ষেপ করা না হলে আমরা সবাইকে নিয়ে আন্দোলনে নামব।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *