Dengue Symptoms : পরিত্যক্ত চায়ের কাপে ১৫-২০% মশার বংশবৃদ্ধি, তথ্য স্বাস্থ্যভবনের সমীক্ষায় – according to health department survey report earthen pot is carrier of dengue


শ্যামগোপাল রায়
চায়ের ভাঁড় আর কাপই ভিলেন! স্বাস্থ্য দপ্তরের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, চায়ের খাওয়ার মাটির ভাঁড় বা কাপই ডেঙ্গির বাহক এডিস ইজিপ্টাই মশার জন্মের আর্দশ জায়গা। কলকাতায় ১৫-২০% মশার বংশবৃদ্ধি হচ্ছে ইতিউতি পড়ে থাকা চায়ের কাপ, ভাঁড়ে। রাস্তায় পড়ে থাকা প্লাস্টিকের বোতল, বাড়িতে ব্যবহার না-হওয়া ফুলের টব, নির্মাণস্থল, কুয়োও এডিস ইজিপ্টাইয়ের পছন্দের জায়গা বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী মঙ্গলবার বলেন, ‘চায়ের কাপ, প্লাস্টিকের বোতল মশা জন্মানোর অন্যতম স্থান। মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। নইলে ডেঙ্গির প্রকোপ কমানো সম্ভব নয়।’

Dengue Symptoms : মশার হামলায় কাহিল সিবিআইয়ের ফেলুদারা
গত অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাংলায় ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে স্বাস্থ্য ভবনের করা সমীক্ষায় দেখা হয়, মশার লার্ভা সবচেয়ে বেশি জন্মাচ্ছে কোথায়। সরকারি সূত্রের খবর, চায়ের ভাঁড় ও কাপের পাশাপাশি রাস্তায় ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের বোতলে ৭%, ব্যবহার না-হওয়া ফুলের টবে ৬% এবং ফাঁকা জমিতে ৯% বংশবৃদ্ধি হচ্ছে মশার। এর ভিত্তিতেই ডেঙ্গি সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে থাকা কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার প্রশাসনিক কর্তাদের মশার বংশবৃদ্ধি বেশি হয়, এমন জায়গাগুলিতে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে। ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর কোথায়, তা জানিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে হোর্ডিং দেওয়ার কথা বলেছে স্বাস্থ্য ভবন।

Siliguri News: দূষণ কমাতে অভিনব পদক্ষেপ, প্লাস্টিকের বিনিময়ে মিলবে বিনামূল্যে চাল
কলকাতা পুরসভার মুখ্য পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস বলছেন, ‘শহরে এখনও অনেক বাড়িতে ব্যবহার না হওয়া ফুলের টবে নজর রাখা হয় না। ছাদের জলাধারের মুখ খোলা, সেদিকেও কারও নজর নেই। এই ধরনের প্রবণতা বন্ধ হলে রোগের প্রকোপ অনেকটাই কমে আসবে।’

Firhad Hakim : ডেঙ্গি দমনে কড়া ফিরহাদ, বহুতলে জল জমে থাকায় গ্রেফতারির নির্দেশ মেয়রের
ডেঙ্গি সচেতনতার প্রচারে এ দিন ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মণীষা বসুকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন এলাকার দোকানদারেরা। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই লেক মল চত্বরে চলে সাফাই অভিযান। কী কী করলে মশাবাহিত রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়, তা-ও তুলে ধরা হয় বাসিন্দাদের কাছে। কাউন্সিলার বলেন, ‘স্থানীয় দোকানদারদের সাহায্য নিয়েই সপ্তাহে ১-২ দিন সাফাই অভিযান চলবে।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *