অভিষেক যুক্তি দেখান, “প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়ি থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দলিল উদ্ধার হওয়ায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। গ্রেফতার হন অর্পিতা। অর্পিতা গ্রেফতার হলে দিলীপ ঘোষকে কেন গ্রেফতার করা হবে না?” দিলীপের আরও একধাপ এগিয়ে মন্তব্য, “আগে তো তদন্ত হোক, তারপর গ্রেফতারি।”
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ-ঘনিষ্ঠ প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে যে সব সম্পত্তির দলিল উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে একটি দলিলে নাম রয়েছে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। এটা যে তাঁরই দলিল, সে কথা ইতিমধ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন BJP সাংসদ। এরপরেই দিলীপ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক, প্রয়োজনে গ্রেফতার করার বিষয়ে সুর চড়াতে শুরু করেন একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই তালিকায় গতকালই যোগ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ‘যোগসূত্র’ ধরে তাঁকে গ্রেফতার করা নিয়ে তৃণমূলের দাবি সপাটে উড়িয়ে দিয়ে দিলীপের জবাব, “তৃণমূলের সবাই এখন CBI-এর চা খাচ্ছে। কারো বাপের টাকায় ফ্ল্যাট কিনিনি। ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছি। যেখানে ফ্ল্যাট কিনেছি, সেই হাউজিং সোসাইটির ও (প্রসন্ন রায়) প্রধান। ইলেকট্রিক মিটারের নাম চেঞ্জ করার জন্য আমি দলিলের কপি ওঁকে দিয়েছি। ওঁদের মতো চোর নাকি আমি ? ধরা পড়ে গেলেই পার্থ আমাদের কেউ না? এটা আমাদের নীতি না।”
গতকালই উত্তর পূর্বাঞ্চলে পাথর খাদান দুর্ঘটনায় বেশ কিছু শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়, যার মধ্যে এ রাজ্যের শ্রমিক রয়েছে। “পরিযায়ী শ্রমিক” ইস্যুতে ফের রাজ্যকে বিঁধলেন মেদিনীপুরের BJP সংসদ। বুধবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে দিলীপ বলেন, “রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে ঝুঁকির কাজ করতে গিয়ে মারা যাচ্ছে। পেটের দায়ে যায়। কেন যাচ্ছে? কারণ এই সরকার কাউকে চাকরি দেয় না। চাকরি লুঠ হয়ে যায়।” এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি অখিল গিরির মন্তব্য বিতর্কেও আদিবাসী সমাজের প্রতি রাজ্য সরকারের ‘প্রতারণা’র তত্ত্ব তুলে ধরেন তিনি। দিলীপ জানান, এখানকার আদিবাসীদের সঙ্গে উনি (মুখ্যমন্ত্রী) প্রতারণা করেছেন। ভোটের আগে বলেছিলেন এক হাজার করে টাকা দেব। ভোট মিটতেই বললেন টাকা নেই। তাই আদিবাসী সমাজ আজ ওঁর দিকে চোখ রেখে কথা বলছে।