স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার উস্থি থানার (Usthi Police Station) তেঁতুলতলা এলাকায় বিকেলে একটি টোটো করে ফিরছিল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা। টোটোয় ছিল উস্থি শ্রীচন্দা হাই স্কুলের (Usthi Sri Chandra High School) পড়ুয়ারা। বুধবার স্কুল ছুটির পর টোটো গাড়ি চেপে বাড়ি ফিরছিল ওই ছাত্র-ছাত্রীরা। তেঁতুলতলা মোড়ের কাছে উল্টো দিক থেকে একটি মালবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোটো গাড়িতে সজোরে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মেরে রাস্তার পাশে পাল্টি খেয়ে যায় গাড়িটি। দুর্ঘটনায় বিকট শব্দে আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে।
টোটোয় যাত্রারত সাত জন ছাত্র-ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। আহত হয় ওই টোটোর চালকও। স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় আহতদেরকে উদ্ধার করে বানেশ্বরপুর গ্রামীণ হাসপাতালে (Baneswarpur Rural Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে তিনজন ছাত্র-ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন উস্তি থানায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে উস্তি থানার পুলিশ। ঘাতক গাড়ির চালককে আটক করেছে উস্তি থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এদিন অন্যান্য দিনের মতোই স্কুল ছুটির পরে টোটোয় চেপে বাড়ি ফিরছিল উস্থি শ্রীচন্দা হাইস্কুলের সাতজন পড়ুয়া। উল্টোদিক থেকে একটি মালবাহী গাড়ি দ্রুত বেগে টোটোর দিকে ধেয়ে আসে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা গিয়ে টোটোয় সজোরে ধাক্কা মারে। টোটোয় সামনের সিটে বসে থাকা স্কুল পড়ুয়া এবং টোটো চালক গুরতর আহত হন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে এসে দ্রুত আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন।
প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসেই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় এক স্কুল ছাত্রীর। দুর্ঘটনাটি ঘটে হাওড়া জেলায় লিলুয়ার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের জগন্নাথ মন্দির এলাকায়। মৃত ছাত্রীর নাম সিদ্ধি শ্রীবাস্তব। হাওড়া অগ্রসেন বালিকা বিদ্যালয়ে পাঠরত ছিল ওই ছাত্রী। স্কুলের ভ্যান চালক তাকে বাড়ির একটু আগে নামিয়ে দেওয়ায় হেঁটেই বাড়ি ফিরছিল সে। এই সময়েই আচমকা একটি লরি এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বড় রাস্তায় নো এন্ট্রি চলাকালীন জনবহুল ছোট রাস্তায় ঢুকে পড়ে মালবাহী গাড়িগুলি। ছোট রাস্তা নিয়ন্ত্রণহীন যাতায়তের কারণেই এরকম দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে জন সাধারণকে।