দিল্লিতে শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে কুচিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর প্রেমিক আফতাবের বিরুদ্ধে। আর এই খবর শুনেই ঘুম উড়েছে সুতপাকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীদের। বহরমপুর গোরাবাজারের এক মেস বাড়ির সামনে খুন করা হয়েছিল কলেজ ছাত্রীকে। নৃশংস সেই ঘটনা চোখের সামনে ঘটে যেতে দেখেছিলেন নূর মহম্মদ। তিনি বলেন, “চোখের সামনে এক কলেজ ছাত্রীকে পরপর ছুরি বসাচ্ছিল সুশান্ত। হাতে একটা পিস্তল ধরা ছিল। তবে সেই সময় বুঝতে পারিনি সেটা নকল। এগিয়ে যেতে সাহস পাইনি। এরপর বহু রাত ঘুমাতে পারিনি।” সুজাতা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী সজল শিকদার বলেন, “সেদিন আক্রোশ ফুটে উঠছিল সুশান্তের চোখে মুখে। এখনও যখন দিল্লিতে শ্রদ্ধা হত্যা মামলার খবর দেখছি তখন ফের একবার সেই সব ভয়াবহ দৃশ্য চোখের সামনে ভাসছে।” সুতপা খুনে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী এই মুহূর্তে জেল হেফাজতে রয়েছে।
সুতপা হত্যাকাণ্ডের পর ধীরে ধীরে মেসবাড়ি ছেড়েছিলেন অনেক পড়ুয়াই। আতঙ্কে আর সেই মুখো হননি তাঁরা। কিন্তু, ফের একবার সেই খালি মেসবাড়িতে আসছেন পড়ুয়ারা। কিন্তু, সুতপা হত্যাকাণ্ডের সেই ভয়াবহ দিন আজও ভুলতে পারেননি ‘মেসকাকু’। হাসিখুসি মেয়েটা এভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি তিনিও। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ড ফের একবার উসকে দিচ্ছে সুতপাকাণ্ডের ভয়াবহ স্মৃতি।
দিল্লিতে শ্রদ্ধা হত্যা মামলায় তাঁর লিভ ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে দেহ ৩৫ টুকরো করে কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় মেয়ের খুনের অভিযোগে যদি সত্যি দোষী প্রমানিত হয় সেক্ষেত্রে আফতাবের ফাঁসি চেয়েছেন শ্রদ্ধার বাবা।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।