Alipurduar District Hospital : অসাধ্য সাধন! চিকিৎসকের চেষ্টায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরল ৩ শিশু – three immature and sick babies become fit after continuous treatment at alipurduar hospital


West Bengal News অসাধ্য সাধন চিকিৎসকদের। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের তিন মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এল তিন সঙ্কটজনক শিশু। মুখে হাসি ফুটল অনামিকা, প্রেমিকা ও হীরামতি। তিন মায়ের কোলে তিনজনের সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় ফেরত দিতে পেরে খুশি চিকিৎসকরাও।

Malda Medical College : ডেঙ্গি আক্রান্ত কিশোরের মৃত্যু, চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে উত্তেজনা মালদা হাসপাতালে
প্রায় ৩ মাস আগে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে (Alipurduar District Hospital) ৩ টি অপরিণত শিশুর জন্ম দেয় অনামিকা রায়, প্রেমিকা ওরাও ও হিরামতি খারিয়া। জন্মের পর থেকেই শিশুদের শারীরিক অবস্থা অবনতি হয়। জেলা হাসপাতালের সিক নিউ বর্ন কেয়ার ইউনিটে (Special New Born Care Units) তাদের চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু সেই সময় শিশুগুলি অপুষ্টি, হার্টের সমস্যা ও রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতার অভাবে আরোও অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরেই শিশুদের ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দেয় শিশুদের পরিবার। কিন্তু হাল ছাড়তে রাজি ছিলেন চিকিৎসকরা। শিশুগুলিকে প্রাণে বাঁচিয়ে নেওয়ার লড়াই চলতে থাকে অনবরত।

Kakdwip News : সাপ বোতল বন্দী করে হাসপাতালে ব্যক্তি, হতবাক চিকিৎসকরা
কিন্তু, আশা হারিয়ে শিশুদের জেলা হাসপাতালে রেখে বাড়িও ফিরে যান অনেক। আর্থিক স্বচ্ছলতা না থাকায় শিশুগুলিকে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো অসম্ভব ছিল দিনমজুর পরিবারগুলি। সেই সময় শিশুগুলির প্রাণ বাঁচানো চিকিৎসকদের কাছে আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। কোনওমতে ওই শিশুর মায়েদের বুঝিয়ে ফের হাসপাতালে নিয়ে আসে শিশু বিভাগের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। প্রায় তিন মাস ধরে হাসপাতালের SNCU তে শিশুগুলোর প্রাণ বাঁচাতে অক্লান্ত চেষ্টা চালায় প্রত্যেকে। অবশেষে শিশু বিভাগের চিকিৎসায় শিশুগুলো অপরিণত অবস্থা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ফেরে। বৃহস্পতিবার সুস্থ সবল অবস্থায় শিশুগুলোকে পরিবারের হাতে তুলে দেয় আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

South 24 Parganas News : বাড়ি ফেরার পথে অটো উলটে মৃত্যু নৃত্যশিল্পীর, মর্মান্তিক ঘটনা সোনারপুরে
হাসপাতাল সুপার বলেন, “এই তিনটে বাচ্চা অত্যন্ত কম ওজনের ছিল। তিনটে বাচ্চা সময়ের আগে প্রসব হয়। তিন মাস ধরে ধৈর্য্য ধরে ওদেরকে আমরা সুস্থ করতে পেরেছি। এমনকি একটি বাচ্চার চোখের রেটিনার সমস্যা ছিল। সেটির চিকিৎসা করেও দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি বাচ্চাই এই মুহূর্তে সুস্থ আছে , তাই তিনজনকেই আজকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” তবে, তিনজনের পরিবারের লোকজনকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পুনরায় একমাস, তিনমাস এবং ছয় মাস পর প্রতিটি শিশুরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। তাঁদের আগামী দিনেও নজরদারিতে রাখা হবে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাচ্চাদের সুস্থ দেখতে পেয়ে চোখে জল প্রত্যেক মায়েরই। চিকিৎসক থেকে শুরু করে নার্সিং স্টাফ প্রত্যেকের প্রয়াসকে কুর্নিশ জানিয়েছে তিনটি শিশুর পরিবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *