Anubrata Mondal : অনুব্রতকে জেরায় আসানসোল সংশোধনাগারে ED, নজরে কেষ্টর ‘বিপুল সম্পত্তি’ – ed reaches to asansol correctional home to interrogate anubrata mondal about cow smuggling case


West Bengal News: গোরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছল ED-র বিশেষ দল। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তিন সদস্যের দল আসানসোল সংশোধনাগারে পৌঁছয়। অনুব্রত মণ্ডলে জন্য নির্দিষ্ট প্রশ্নমালাও তৈরি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। বৃহস্পতিবার প্রথমবার অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করবে ED। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল থেকে শুরু করে তাঁর দেহরক্ষীকেও জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। সেই জেরা সম্পর্কিত তথ্য আদালতে জমা দিয়েছেন তাঁরা। অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করে নতুন দিক উঠে আসতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

কেষ্ট ‘ঘনিষ্ঠ’ কাউন্সিলরকে জিজ্ঞাসাবাদ…
অনুব্রত মণ্ডল এবং লটারি (Lottery) রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। অনুব্রত মণ্ডলের ‘ঘনিষ্ঠ’ কাউন্সিলর বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনকে CBI জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল। তিনি শান্তিনিকেতনের রতনকুঠিতে তদন্তকারীদের অস্থায়ী (CBI Office) শিবিরে হাজিরা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সামনে হাজিরা দিয়েছিলেন ‘অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত আরও এক কাউন্সিলর ওমর শেখ।

Firhad Hakim : ‘বাঘকে আজীবন খাঁচায় বন্দি করে রাখা যাবে না’, কেষ্টহীন বীরভূমে মন্তব্য ফিরহাদের
অনুব্রত কন্যার বিরুদ্ধে তথ্য?
‘লটারি রহস্য’-এর সমাধানে গোয়েন্দাদের নজর ছিল অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপরও। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের (Anubrata Mondal Daughter Sukanya Mondal) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঁচটি লটারির টাকা প্রবেশ করেছে। যদিও তদন্তকারীদের তরফে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য় দেওয়া হয়নি। তবে লটারির অর্থের সঙ্গে গোরু পাচারের অর্থের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে।

Anubrata Mondal Daughter : কেষ্ট কন্যার ব্যাঙ্কে লটারির আরও ৫০ লাখ! বারবার পুরস্কার জয়ে তাজ্জব CBI
‘বাঘকে আজীবন খাঁচায় বন্দি করা যায় না’
গোরুপাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল আপাতত জেলবন্দি। তাঁর অবর্তমানে বীরভূমে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে ‘বীরভূমের বাঘ’বলেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেছিলেন, “বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছুদিনের জন্য খাঁচায় রেখেছ। সারাজীবন পারবে না। তাই শিয়ালগুলো এখন হুক্কা হুয়া করছে। কিছুদিন পর যখন আবার বেরিয়ে আসবে তখন শিয়ালগুলো আবার ঢুকে যাবে।” এখানেই শেষ নয়, তাঁর সংযোজন ছিল, “বনের বাঘ এক দিক থেকে অন্য দিকে চলে গেলে শেয়ালরা মাঝেমাঝে লাফালাফি করে। আবার যেই বাঘ আসে তখন শেয়ালগুলি লেজ নাড়িয়ে পালিয়ে যায়।” এরপর ফিরহাদের হুঁশিয়ারি, “বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছু দিনের জন্য খাঁচায় রেখেছ। সারা জীবন পারবে না। সেই বাঘ যখন আবার বেরিয়ে আসবে তখন আজ যে শিয়ালগুলি হুক্কা হুয়া করছে তারা সকলে আবার খাঁচায় ঢুকে যাবে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *