স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলি নদীতে (Hooghly River) মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল একসঙ্গে ১৮টি নড়ে ভোলা মাছ। বুধবার কুলপি (Kulpi) রাঙাফলার ৫ জন মৎসজীবি নৌকা নিয়ে হুগলি নদীর আগুনমারি চড়ার কাছে মাছ ধরছিলেন। সেই সময় তাঁদের জালে ১৮ টি ৫ ফুট দৈর্ঘ্যের নড়ে ভোলা মাছ ধরা পড়ে। আজ সকালে নৌকা নিয়ে ফেরেন তাঁরা। ততক্ষণে এতগুলি নড়ে ভোলা মাছ শিকারের ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। আজ সকালে মাছগুলি বাড়িতে নিয়ে আসলে বড় মাছ দেখতে বেলপুকুর এলাকায় ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “এই গ্রামের অনেকেই মাছ ধরে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে। এরা এই প্রথম এত বড়ো ভোলা মাছ ধরে নিয়ে এল। সত্যি এটা আশর্চজনক। এর আগে আমাদের এলাকা থেকে এত বড়ো সাইজের এই মাছ কেউ তুলতে পারেনি। এত সুন্দর মাছ দেখে আমরা গ্রামবাসী হিসাবে খুবই উজ্জীবিত। মৎস্যজীবীরা জানালেন, একেকটি মাছ ২৫ থেকে ৩০ কিলো ওজনের হবে। এই মাছের বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায় বলেও জানান তাঁরা। মৎস্যজীবী মুসারফ হোসেন বলেন, “রাত দশটা নাগাদ আমরা মাছগুলো পাই। এরপর বরফ দিয়ে নৌকায় রেখে দিই। একসঙ্গে এতগুলো মাছ পাবো ভাবতে পারিনি। গ্রামে মাছগুলি নিয়ে আসার পর সবাই খুব খুশি।” মৎস্যজীবীরা জানান, মাছগুলি নিলামের জন্য ডায়মন্ড হারবার (Diamond Harbour) নগেন্দ্র বাজারে নিয়ে যাওয়া হবে।
দিন কয়েক আগেই একটি মাত্র তেলিয়া ভোলা মাছ পেয়ে ভাগ্য খুলে গিয়েছিল সাগরের চার মৎস্যজীবীর। একটি মাত্র ভোলা মাছ। আর তাতেই ভাগ্য খোলে সুন্দরবনের সাগর ব্লকের দেবী মথুরাপুরের অভাবী চার মৎস্যজীবীর। জালে ওঠে প্রায় ২৫ কিলো ওজনের ওই তেলিয়া ভোলা প্রজাতির মাছটি৷ মাছটি বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয় স্থানীয় নিশ্চিন্তপুর মাছ আড়তে। মাছটি দেখতে রীতিমতো ভিড় জমে যায়। নিলামে প্রায় হাজার টাকা কেজি দরে পঁচিশ হাজার টাকায় বিক্রি হয় মাছটি।
