গ্রেটার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের বংশী বদন বর্মন গোষ্ঠীর দাবি, উত্তরবঙ্গ (North Bengal) বঞ্চিত, এই বলে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় শাসিত রাজ্য তৈরির কথা। এভাবে উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার চক্রান্ত মানা হবে না। ভারতভুক্তি চুক্তি মোতাবেক কোচবিহারকে ‘গ’ শ্রেণির রাজ্য করতে হবে। বুধবার দিনহাটা সংহতি ময়দানে এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই জানালেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বংশী বদন বর্মন। বস্তুত, রাজ্য সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে এদিন তিনি বলেন, “কেউ কেউ আলাদা রাজ্যের কথা বলে। কোচবিহার মহারাজার সঙ্গে ভারত সরকারের যে চুক্তি হয়েছে, সেই চুক্তিকে উপেক্ষা করতে চায়। কিন্তু, আমরা ভারতভুক্তি চুক্তি অনুযায়ী চলতে চাই।”
তাঁর কথায়, “আমরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী রাজবংশী ভাষার স্বীকৃতি দিয়েছেন। রাজবংশীরা বাঙালি নন। তাঁদের ভাষা বাংলা ভাষা নয়, তা রাজবংশী ভাষা।” তবে যতদিন না চুক্তি মোতাবেক ‘গ’ শ্রেণির রাজ্য হচ্ছে, ততদিন আমাদের এই আন্দোলন চলবে জানান এই গ্রেটার নেতা।
দীর্ঘদিন ধরেই পৃথক কোচবিহার রাজ্যের দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন করে আসছে গ্রেটারের বিভিন্ন সংগঠন। এই দাবিকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে সংগঠনগুলি একাধিকভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। বংশীবাদন নেতৃত্বাধীন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজ্যের শাসক দলকে সমর্থন করে। এমনকি রাজ্য সরকার যে রাজবংশী উন্নয়ন বোর্ড (Rajbanshi Development Board) গঠন করেছে তারও চেয়ারম্যান করা হয়েছে বংশীবদন বর্মনকে।
অপরদিকে, অনন্ত মহারাজ নেতৃত্বাধীন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে BJP-র সখ্যতা দেখা যায়। বিভিন্ন ভোটের প্রচারে BJP-র সমর্থনে অংশ নিতে দেখা যায় এই গোষ্ঠীকে। সম্প্রতি অনন্ত মহারাজ দাবি করেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁকে কথা দিয়েছেন উত্তরবঙ্গকে পৃথক কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল করা হবে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।