আরামবাগ পুরসভার (Arambagh Municipality) এলাকায় আরামবাগ হাইস্কুলে দেখা গেল এরকমই চিত্র। অনেকেই বলছে, বিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির ক্যাম্পগুলিতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সেখানে কোলাহল হতেই পারে। বিঘ্ন হতে পারে ক্লাস বা পরীক্ষা। স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন,“ স্কুল সরকারের, আবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচিও সরকারের প্রকল্প। দুটি বিষয়ের কাজ একসঙ্গে চলছে। এটা তো কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়। মানুষ নির্বিঘ্নে আসছেন। নিঃশব্দে নিজের কাজ মিটিয়ে নিচ্ছেন। উল্টোদিকে, স্কুল চলছে তাঁদের নিয়ম অনুসারে। কোনওদিকেই অসুবিধা হচ্ছে না।”
আরামবাগ স্কুলের বিশাল ক্যাম্পাসের কারণেই দুটো দিক একসঙ্গে তাল মিলিয়ে করা যাচ্ছে বলে দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের। আরামবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিকাশ চন্দ্র রায় বলেন, “আমাদের ছুটির অর্ডার না থাকলে তো স্কুল ছুটি দেওয়া যায় না। যেহেতু আমাদের ক্যাম্পাস অনেক বড় তাই আমাদের কোনও অসুবিধা হয়নি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায় সমস্ত ক্লাস বা পরীক্ষা চলছে। একতলাটা দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনও জায়গায় বিঘ্ন ঘটেনি।” আরামবাগ পুরসভার ৩, ১৩ এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সরকারি পরিষেবা প্রদানের কাজ ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন সকাল থেকে প্রচুর স্থানীয় বাসিন্দারা হাজির হন ক্যাম্পে।
তবে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। আরামবাগ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “ দুয়ারে সরকার মানেই তো এরা জানে না। মানুষের বাড়ি, বাড়ি সরকারি আধিকারিকদের যাওয়া উচিত ছিল। সেখানে সরকারি একটি চালু স্কুলে কিভাবে এরকম কাজ হয়। স্কুলের মধ্যে এরকম বিশৃঙ্খলা করার তো কোনও মানেই হয় না। আমি এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”