Mamata Banerjee : মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্যা জানাতেই গ্রামে বসছে গভীর নলকূপ – west bengal chief minister mamata banerjee solved kurchiboni and malavati villagers complained for drinking water


অরূপকুমার পাল, ঝাড়গ্রাম :
মুখ্যমন্ত্রীকে পানীয় জলের সমস্যা জানানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রামে পৌঁছে গেল গভীর নলকূপ তৈরির যন্ত্রপাতি। মঙ্গলবার বেলপাহাড়ির সাহাড়ি ময়দানে বিরসা মুন্ডার জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান শেষে ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক দিয়ে ঝাড়গ্রামে আসার পথে কুড়চিবনি ও মালাবতীর বাসিন্দারা পানীয় জলের সংকট নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানান।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা বুধবার গ্রামে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার গ্রামে বসানো হচ্ছে হাজার লিটারের জলের ট্যাঙ্ক।

Mamata Banerjee : ‘ঘর-কল কিছুই পাইনি…’ বেলপাহাড়িতে মমতাকে পেয়ে অভিযোগ আদিবাসীদের
আপাতত সেই ট্যাঙ্ক থেকে পানীয় জল সরবরাহ করবে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। গ্রামবাসীদের সঙ্গে এদিন বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় গ্রামে গভীর নলকূপ নির্মাণের পাশাপাশি বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে জল। বিনপুরের বিধায়ক দেবনাথ হাঁসদা বলেন,’মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশে দ্রুততার সঙ্গে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’ এদিন কলকাতা রওনা হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’ডিএম, এসপির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। যা যা বলার তা বলে দিয়েছি। ওই গ্রামে জল আজ পেয়ে যাবে।’

Mamata Banerjee : ‘আমরাও বন্ধ করে দিতে পারি…’, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে হুঁশিয়ারি মমতার
এদিকে, মিজোরামে মৃত বাংলার পাঁচ শ্রমিকদের পরিবারের পাশে থাকার কথাও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার দুপুরে ঝাড়গ্রামের হেলিপ্যাড গ্রাউণ্ডে সাংবাদিকদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’মিজোরামে আমাদের বাংলার পাঁচজন কর্মী মারা গিয়েছেন। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। এঁদের চারজনের বাড়ি নদীয়ার তেহট্টে। আর একজনের বাড়ি সন্দেশখালি এলাকায়। আজ মৃতদেহ গুলি আসছে। দমদম বিমানবন্দরে থেকে লোকজন থাকবেন। নদীয়ার উজ্জ্বল বিশ্বাস ও মহুয়া মৈত্রকে থাকতে বলেছি। সন্দেশখালির বিধায়কও থাকবেন সেখানে। যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের একজনকে চাকরি ও আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। তাঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষা নেই। আমি স্যালুট জানাচ্ছি যাঁরা দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন।’

Firhad Hakim : গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়, গ্রামের ঝামেলা! সাঁইথিয়ার সংঘর্ষ নিয়ে দাবি ফিরহাদের
তারপরেই বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারের উপর তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,’এরা মানুষকে মানুষ বলে মনে করে না। গত তিন চার মাসে বাংলার অনেক লোক ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মারা যাচ্ছে। আমি জানি না কি হচ্ছে?’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *