বুধবার বসিরহাট (Basirhat) জেলার মিনাখাঁ থানার চাপালি গ্রাম পঞ্চায়েতের গাইন পাড়ায় সন্ধেবেলায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় ঝুমা খাতুনের। খেলার বস্তু ভেবে বোমায় হাত দিয়েছিল সে। বিকট শব্দে ফেটে যায় বোমাটি। তারপরেই সব শেষ। ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর শিশুটির গ্রামের বাড়িতে তার মৃত্যুর খবর আসে। ঝুমার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বাসন্তী থানার আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের করমদিনি বাটি গ্রামে। শিশু মৃত্যুর আসল ঘটনা জানার পর শোকস্তব্ধ হয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। মা-বাবাকে নিয়ে মামারবাড়ি ঘুরতে গিয়েছিল ঝুমা। সেই বাড়িতে হাতের নাগালে বিস্ফোরক মজুত থাকে কী করে ? ভেবেই কুলকিনারা করতে পারছেন পড়শিরা। স্থানীয় এক বাসিন্দা সামসুদ্দিন বলেন, “আত্মীয়রা সেখানে ঘুরতে গিয়েছে, তাঁদের সঙ্গে কী ব্যবহার হয়েছে ? বাড়িতে বোমা থাকে কী করে? একটা বাচ্চাই বা সেখানে গিয়ে পৌঁছয় কী করে ?”
গত পরশু দিন মিনাখাঁয় নিজের নানার বাড়িতে বেড়াতে যায় ঝুমা। বাবা কাজে ছুটি নিয়ে বাড়ি এসেছে। সেই আনন্দে সকলে মিলে বেড়াতে যাওয়া হয়। তার যে এরকম পরিণতি হবে মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের বাকি সদস্যরাও। চোখ ছলছল করে ঝুমার দাদু আব্দুল খালেক খান বলেন, “কী মানুষ ওরা কে জানে ? ঘরে কেউ বোমা রাখে নাকি। একটা বাচ্চা তো আমাদের চলে গেল। শাস্তিটা ওদের অন্তত হোক। প্রশাসন সেই ব্যবস্থাটা করুক, আর কী বলবো।”
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধে ছটা নাগাদ তৃণমূল নেতা (TMC Leader) আবুল হোসেন গায়েনের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় শিশুটির। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই নাবালিকাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনাস্থলে যান বসিরহাট পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও মিনাখাঁ থানার পুলিশ আধিকারিক সিদ্ধার্থ মণ্ডল। তৃণমূল নেতা আবুল হোসেন গাইনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।