স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল ১১টা নাগাদ শান্তিপুর ব্লকের টেংরিডাঙ্গা এলাকায় তাঁতঘরে কাজ করার সময় হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ঘরটি৷ আর তাতেই বিপত্তি বাধে৷ ওই সময় তাঁতের কাজ করছিলেন একই পরিবারের দুই সদস্য। ঘরের চালা ভেঙে পড়ে তাঁদের মাথার উপর পড়ে এবং তাতে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন একই পরিবারের ওই দু’জন। গুরুতর আহত ওই দু’জনকে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে নিয়ে যান কালনা হাসপাতালে (Kalna Hospital)। জানা যায়, এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই দু’জনই চিকিৎসাধীন।
পরিবারের দাবি, তাঁত বুনে কোনও রকমে সংসার চালাতেন তাঁরা৷ কিন্তু তাঁত ঘরটি ভেঙে যাওয়ার কারণে যেমন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাঁদের, তেমনই দু’জন গুরুতর আহত হওয়ায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে পরিবারে। কারণ এই তাঁত বুনেই সংসার চলত৷ এবার এই দুর্ঘটনার ফলে তাঁতের মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে পরিবারটির৷ সংসার চালানোর ব্যবস্থা করতে এখন রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের৷ আগামী দিনেও কীভাবে এই ক্ষতি পূরণ হবে, তা ভেবে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা৷
পরিবারের সদস্য সরিফা বিবি বলেন, ‘‘তাঁত বোনা হচ্ছিল ঘরে৷ ঘরটা যে এভাবে ভেঙে পড়বে বুঝতে পারিনি৷ সেখানে দু’জন চাপা পড়েছিল৷ আমরা সবাই গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করি৷ এখনও চিকিৎসা চলছে৷ আমার ছেলের দুর্ঘটনার পর থেকে কাজ করতে পারে না৷ এই তাঁত দিয়েই কোনও রকমে চলে সংসার৷ এখন কীভাবে সংসার চলবে, বুঝতে পারছি না৷’’ প্রতিবেশী সাহিদুর আলম শেখ বলেন, ‘‘তাঁত বোনার সময় গতকাল সকাল ১১টা নাগাদ ঘরটা পড়ে যায়৷ আমার পাশেই দোকান, আমি চিৎকার শুনে ছুটে এসেছিলাম৷’’ এই ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘একটি জ্যাকেট মেশিন ছিল, তাঁতের ফ্রেম সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ পঞ্চায়েত সদস্যের তরফে এখনও কোনও সাহায্য করা হয়নি৷’’