SSKM Hospital Fire : এসএসকেএম হাসপাতালে বড়সড় আগুন, বন্ধ জরুরি বিভাগ – sskm hospital in kolkata catches fire panic strikes among patients


Produced by Rupsa Ghosal | EiSamay.Com | Updated: 17 Nov 2022, 11:51 pm

SSKM Hospital-এর এমারজেন্সি বিভাগের দোতলায় আগুন। হাসপাতালের সিটি স্ক্যান বিভাগে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৯টি ইঞ্জিন। জেনে নিন বিস্তারিত …

 

SSKM Hospital Fire : পিজি হাসপাতালে আগুন।

হাইলাইটস

  • পিজি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড।
  • ঘটনাস্থলে দমকলের 9টি ইঞ্জিন।
  • পৌঁছেছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
পিজি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড। বৃহস্পতিবার রাত ১০টা নাগাদ SSKM হাসপাতালের এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের দোতলায় আগুন (SSKM Hospital Fire) লাগে বলে খবর। ওই বিল্ডিংয়ের দোতলায় সিটি স্ক্যান বিভাগ রয়েছে। সেখানেই আচমকা একটি বিকট আওয়াজ শোনা যায়। তারপরই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। ওই অংশে সিটি স্ক্যানের একাধিক মেশিন সহ প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ৯টি ইঞ্জিন। মই নিয়ে দমকলের কর্মীরা এমারজেন্সি বিল্ডিংয়ের (SSKM Hospital Emergency) পিছন দিক থেকে আগুনের উৎসস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। যদিও ওই অংশে কোনও রোগী না থাকায় হতাহতের কোনও খবর নেই।

Hooghly Fire : চন্দননগরে দিল্লি রোডের পাশে ভয়াবহ আগুন, পরে নিয়ন্ত্রণে
আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে, যাতে কোনওভাবেই তা এমারজেন্সি বিভাগের তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থলে তা ছড়িয়ে না পড়তে পারে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim), মদন মিত্র (Madan Mitra)। পৌঁছন রাজ্যের মুখ্যসচিবও।ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে রোগী এবং আত্মীয়দের মধ্যে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জরুরি বিভাগে (SSKM Emergency Ward) রোগী ভর্তি। বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বিদ্যুৎ সংযোগ। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এমারজেন্সি এলাকা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তড়িঘড়ি ফার্স্ট ফ্লোরে নিউ ক্যাজুয়াল্টি ব্লক থেকে ৩০ থেকে ৩৫ জন রোগীকে বের করে নিয়ে আসা হয়। রোগীদের নিরাপত্তার কারণে নিউ ব্লকের ম্যাকেঞ্জি ওয়ার্ডে এবং ট্রমা কেয়ার সেন্টারে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বৈদ্যতিক বিভ্রাটের জেরেই দোতলার একটি সিটি স্ক্যান মেশিন এবং তার যন্ত্রাংশ থেকে এই আগুন লাগে বলে অনুমান দমকল কর্মীদের। জানলার কাচ ভেঙে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেখানে আগুন লেগেছে, তার ঠিক উপরেই রোগীদের ওয়ার্ড রয়েছে। তাই আগুন যাতে কোনও ভাবে সেখানে পৌঁছতে না পারে, তা নিশ্চিত করাই এখন প্রধান লক্ষ্য। রাজ্যের অন্যতম বড় এই সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সকলের মধ্যে।

প্রায় দেড় ঘণ্টা পর এমারজেন্সি বিভাগের দোতলার আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। তবে পকেট ফায়ার রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন দমকল কর্মীরা। যাতে কোনওভাবেই তা অন্যত্র ছড়িয়ে না পড়তে পারে তাই উৎসস্থলে পৌঁছনোর চেষ্টায় আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করছেন দমকল কর্মীরা। আংশিকভাবে দেড় ঘণ্টা পর খোলা হয় এমারজেন্সি বিভাগও। কিন্তু, শহরের সবচেয়ে বড় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, যেখানে ২৪ ঘণ্টা জরুরি বিভাগ খোলা থাকে এবং রোগীদের লাইন লেগে থাকে, তা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। রোগী ও পরিজনদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট। জরুরি বিভাগে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়।

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *