West Medinipur News : গণধর্ষণ তদন্তে গাফিলতি, ডিএসপির বিরুদ্ধে মামলা – calcutta high court filed case against paschim medinipur dsp


অমিত চক্রবর্তী
গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে গাফিলতির জেরে থানার আইসি-র বিরুদ্ধে আগেই আদালতের নির্দেশে এফআইআর হয়েছিল। এ বার হাইকোর্টের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট জেলার ডেপুটি পুলিশ সুপারও ফৌজদারি মামলার মুখে। কেননা, আইসি’র ঊর্ধ্বতন অফিসার হিসেবে অভিযোগের তদন্তে তদারকির দায়িত্ব তাঁরই। এ রকম মতবে আইনজীবীদের দাবি, ধর্ষণের তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে এর আগে ডিএসপি পদমর্যাদার কোনও পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে সম্ভবত ফৌজদারি মামলার নজির নেই। এই গাফিলতিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার দীনেশ কুমারের দায় কতটা, তা-ও খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার জন্যে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে বুধবার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

Calcutta High Court : পাঁচ বছরেও নির্দেশ মানেনি রাজ্য, বেজায় ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
গোটা ঘটনাক্রমে পুলিশের ভূমিকায় তুমুল বিরক্তি প্রকাশ করে বিচারপতি মান্থার বক্তব্য, থানা তো বটেই, পুলিশ সুপার নিজে কী ভাবে দায় এড়াবেন! এর শেষ দেখা দরকার। অন্তত এই একটি ঘটনাকে উদাহরণ হিসেবে দেখতে হবে। তার পরেই আদালত রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নতুন করে এসপি’র ভূমিকা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি ডিএসপি’র (ডিউটি অ্যান্ড ট্রেনিং) বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে গাফিলতির কারণে থানার আইসি সুবীর মাজির বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশেই এফআইআর রুজু হয়েছিল।

DA Update: বিদ্যুৎকর্মীদের DA মেটাতে তহবিল, উপেক্ষিত বাকিরা
এ দিন আদালতে নির্যাতিতার পরিবারের তরফে আইনজীবী সৌম্যজিৎ দাস মহাপাত্র বলেন, এর আগেও হাইকোর্ট ডিজিকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছিল। অথচ তিনি সেই তদন্তের দায়িত্ব দেন দক্ষিণবঙ্গের এডিজিকে। সেই আধিকারিক আবার তদন্ত করান জেলার পুলিশ সুপারকে দিয়েই। অথচ এখানে থানার সঙ্গেই অভিযোগ পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধেও। তিনি তদন্ত করে নিজের বিরুদ্ধে কোনও কথা যে বলবেন না, সেটাই স্বাভাবিক। যদিও রাজ্যের পক্ষে বর্ষীয়ান আইনজীবী অমিতেষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য পুলিশের ডিজি এর মধ্যেই থানার আইসি ছাড়াও আরও কয়েক জন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেছেন। কেশপুরের সার্কেল ইনস্পেক্টরকেও সেন্সর করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশের পরে তদন্তভার হাতে নিয়ে সিআইডি ইতিমধ্যে চার্জশিটও পেশ করেছে গণধর্ষণের ঘটনায়।

Asansol News : প্রেমিকের জন্মদিনে আসানসোলের এসে হরিয়ানার যুবতীর রহস্যমৃত্যু
গত ১১ অগস্ট গণধর্ষণের অভিযোগে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর থানায় যান নির্যাতিতা। কিন্তু থানা তিন দিন ধরে তাঁকে ফিরেয়ে দেয়। ১৬ তারিখ তিনি পোস্টে অভিযোগপত্র পাঠান থানায়। কিন্তু কাজ হয়নি। ২২ অগস্ট তিনি পুলিশ সুপারের অফিসে গিয়ে অভিযোগ জানিয়ে আসেন। পুলিশ তার পরেও গা না করায় জেলা আদালতে মামলা করেন নির্যাতিতা। ২৯ অগস্ট জেলা আদালত পুলিশকে দ্রুত এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয়। কিন্তু তাতেও ঘুম ভাঙেনি পুলিশের। নির্যাতিতার পরিবার হাইকোর্টে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করে। ৬ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মান্থার এজলাসে শুনানির পর সেই বিকেলে সবে থানা এফআইআর রুজু করে।

IIT Kharagpur: র‍্যাগিংয়ের কথা আগেই জানত আইআইটি! ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের জবাব তলব আদালতের
ললিতা কুমারী মামলায় ২০১৪ সালেই সুপ্রিম কোর্ট এমন গাফিলতিতে সংশ্লিষ্ট অফিসারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার পক্ষে রায় দিয়েছিল। ২০১৯ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চও ধর্ষণের মতো ঘটনায় তদন্তে গাফিলতিতে তদন্তকারী অফিসারদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার নির্দেশ দিয়েছিল।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *