দেবজ্যোতি কাহালি: ব্যবধান তিন দিনের। নিশীথ প্রামাণিকের পর এবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হল জন বার্লার বিরুদ্ধেও! কেন? লোকসভা ভোটের সময়ে বিধিভঙ্গের অভিযোগে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়া জারি করল তুফানগঞ্জ আদালত। ‘অভূতপূর্ব ঘটনা’, প্রতিক্রিয়া দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন জন বার্লা। স্রেফ সাংসদ নন, এখন কেন্দ্রীয় সরকারের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী তিনি। অভিযোগ, লোকসভা ভোটের কোচবিহারের তুফানগঞ্জে নাকি বিনা অনুমতি সভা করেছিলেন জন বার্লা! বক্সিরহাট থানায়য় অভিযোগ দায়ের করে নির্বাচন কমিশন। মামলা চলছে তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালতে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেন গ্রেফতারি পরোয়ানা? আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদকে তুফানগঞ্জ মহকুমা আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। কিন্তু শুনানিতে গরহাজির ছিলেন তিনি। সেকারণেই এই গ্রেফতারি পরোয়ানা। এর আগে, আলিপুরদুয়ারে সোনার চুরি দোকানে চুরির মামলায় আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। কারণ সেই একই, শুনানিতে গরহাজিরা।
আরও পড়ুন: অ্যারেস্ট মেমোতে সই করেননি অনুব্রত, দেননি টাকার হিসেব! দিল্লি আদালতের পথে ইডি আধিকারিকরা
এদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি অভূতপূর্ব ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, ‘রাজনৈতিক সভা-সমিতি করলে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়! ভূ-ভারতে দেখিনি। প্রথমবার দেখলাম। যাঁরা ক্ষমতায়, তাঁরা কোনও অনুমতি নেয়নি। পুলিসেরও ছোঁয়ার হিম্মত নেই। আদালতে বিচার হবে’। ‘ভারতবর্ষের সংবিধান অনুযায়ী কেউ আইনের উর্ধ্বে নন’, বললেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।