২০০৯ সালে আলিপুরদুয়ারের সোনার দোকানে চুরির মামলায় আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় গত ১১ নভেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আলিপুরদুয়ারের জুডিশিয়াল থার্ড কোর্ট। এই ঘটনায় হইচই পড়ে যায় জেলার রাজনৈতিক মহলে। অন্যদিকে, নিশীথ প্রামাণিকের পাশাপাশি অপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে তুফানগঞ্জ আদালত (Tufanganj Court)। ২০১৯-এর ভোটে অনুমতি না নিয়ে বাইক মিছিলের অভিযোগে আদালতের নির্দেশে বক্সীরহাট থানায় মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় ১৫ নভেম্বর সমন পাঠানো হলেও হাজিরা দেননি মন্ত্রী। এরপরেই জন বার্লার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এরপর প্রকাশ্যে এল নিশীথ প্রামাণিক ও জন বার্লাকে সমর্থন জানিয়ে KLO-র ভিডিয়ো বার্তা।
তবে বিষয়টিকে আমল দিতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। KLO ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে হুঁশিয়ারি দেওয়ার বিষয়টিকে কটাক্ষ করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ এদিন বলেন, “এটা তো স্বাভাবিক ব্যাপার। যারা বিচ্ছিন্নতাবাদী কাজ করে, যারা দুষ্কৃতি তারা তো সব একজোট হবেই।”
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) উত্তরবঙ্গ সফরের পরই হুঁশিয়ারি দিয়ে অডিয়ো বার্তা প্রকাশ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (KLO)-র প্রধান জীবন সিংহ। মায়ানমারের গোপন ডেরা থেকে পাঠানো অডিয়ো বার্তায় মালখানের সিংহের গ্রেফতারের বদলা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন KLO চেয়ারম্যান। এমনকী KLO-র সঙ্গে অসম এবং কেন্দ্রীয় সরকারের যে শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাও বিঘ্নিত হবে বলে দাবি করেন এই বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা। তার আগে মালখান সিংহ ওরফে মাধব মণ্ডলকে দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়ি এলাকা থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের গোয়েন্দারা।