কল্যাণীতে (Kalyani) চা পেয়ে চর্চায় কর্মসূচিতে শুক্রবার যোগ দেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ বলেন, “কেন্দ্রের অনেক প্রকল্প তিনি শুরু করেছিলেন। তাঁর উদ্ভাবনী শক্তি রয়েছে, আমাদের সৌভাগ্য এরকম একজন ব্যক্তি বাংলায় এসেছেন। এখানকার সরকার যদি চায় তাঁর সহযোগিতা নিয়ে এখানকার উন্নয়ন করতে পারে। আর এরা যদি ঝগড়া করতে চায় হিতে বিপরীত হবে।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যের নব নিযুক্ত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (IAS CV Ananda Bose) ১৯৭৭ সালে IAS-এ যোগ দিয়েছিলেন। কেরলে জেলাশাসক, শিক্ষা, বন ও পরিবেশ, শ্রম এবং সাধারণ প্রশাসনের মতো বিভিন্ন মন্ত্রকের প্রধান সচিব এবং অতিরিক্ত মুখ্য সচিব হিসেবেও কাজ করেছেন। সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন, সুশাসন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি, গ্রামোন্নয়ন এবং শিক্ষার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ও আন্দোলনের জন্ম দিয়েছেন তিনি। তিনি জেনেভায় অবস্থিত ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ বা সার্ন (CERN) এবং ফ্রান্সে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ফিউশন এনার্জি অর্গানাইজেশন বা আইটিইআর (ITER)-এ ভারতের প্রতিনিধিত্বও করেছেন।
২০২৫ সালের মধ্যে বাংলায় প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা-৩ (Pradhan Mantri Gram Sadak Yojana) এর অধীনে রাজ্য প্রায় ৬ হাজার কিমি রাস্তা তৈরি হওয়ার কথা রয়েছে। তার জন্য প্রায় ৫৫০০ কোটি খরচ হতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। তারই প্রথম কিস্তির অর্থ দিল কেন্দ্র। এক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য দুজনের অর্থের অংশীদারিত্ব রয়েছে। তবে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “শর্তগুলির না মানলে আবারও টাকা বন্ধ হয়ে যাবে। এলাকার উন্নয়নে এলাকার বিধায়ক, সাংসদদের সঙ্গে নিয়েই কাজ করতে হবে।” এদিন কল্যাণী শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এরপর দলীয় কর্মসূচিতে মুর্শিদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ।