Google Job : ফেসবুক (Facebook) এবং গুগল (Google) দুই সংস্থা থেকেই কাজের অফার পেয়েছিলেন রামপুরহাটের বিশাখ মণ্ডল। তবে ফেসবুকের পরিবর্তে বেছে নিয়েছিলেন গুগলকে। সেই সিদ্ধান্তের জোরে এখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে পরিবার।

হাইলাইটস
- ফেসবুক থেকেও চাকরির সুযোগ এসেছিল রামপুরহাটের বিশাখের কাছে
- ফেসবুকের পরিবর্তে বিশাখ বেছে নিয়েছিলেন গুগলের চাকরি
- বিশাখের সিদ্ধান্তে এখন স্বস্তিতে পরিবারের সদস্যরা
বিশাখের বাবা বীরেন মণ্ডল নিজের বাড়িতে চাষের কাজের জন্য মুর্শিদাবাদে সুখী গ্রামে থাকেন। মা শিবানী মণ্ডল রামপুরহাট ১০ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ফ্ল্যাটে থাকেন। মা পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। প্রতিদিন রামপুরহাট থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে মল্লারপুর ফতেপুরে কাজে যেতে হয় তাঁকে। বহু লড়াই করে ছেলেকে মানুষ করেছে শিবানীদেবী। ২০০৭ সালে মায়ের সঙ্গে সুখী গ্রাম থেকে রামপুরহাটে এসেছিলেন বিশাখ। প্রথমে রামপুরহাট প্রণব শিক্ষা নিকেতন স্কুলে পড়তেন। এরপর রামপুরহাট জিতেন্দ্র লাল বিদ্যাভবন স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। ছেলেবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিলেন তিনি। তাই খুব সময়ের মধ্যেই স্কুলের শিক্ষকদের কাছে প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছিলেন। এদিকে পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতা একেবারেই ছিল না। যদিও ছেলের পড়াশোনার জন্য কোনও খামতি রাখতে চাননি তাঁর মা। ছেলের জন্য অনেক লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। এই লড়াইয়ে আত্মীয়স্বজনদের সহযোগিতা পেয়েছিলেন।
এদিকে ফেসবুকে কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর জানাজানি হওয়ার পর এখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন বিশাখের পরিবার। এই নিয়ে এই সময় ডিজিটালের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল বিশাখের মা শিবানীর সঙ্গে। তিনি বলেন, “এখন মনে হচ্ছে ছেলে ফেসবুকে চাকরি না করে খুবই ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। না হলে যে কী হত! আমরা খুব চিন্তায় থাকতাম। তবে ও গুগলে চাকরি করছে এটাই আমাদের কাছে শান্তির। ও ফেসবুকের চাকরি না নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভাগ্যিস ফেসবুকে যোগ দেয়নি!”এমনকী, কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর জানাজানি হতে পরিবারের পাশাপাশি স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন বিশাখ নিজেও।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ