জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) শহর সংলগ্ন এলাকা ছাড়াও ডুয়ার্সের বিভিন্ন চাবাগানগুলি থেকে চিতাবাঘের আতঙ্কের খবর বা আক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে বারংবার। কিন্তু তিস্তা নদীর চর বা জনবহুল এলাকায় এই ধরনের ঘটনা এর আগে শোনা যায়নি বলেই জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার কুচুয়া এলাকায় তিস্তা নদীর তিন নম্বর স্পার এলাকায় বনকর্মীরা পৌঁছলে তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তায় এমনটাই দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত সরকার বলেন, “এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজ করেন। বহু মানুষ মাঠে কৃষিকাজের জন্য মাঠে থাকেন৷ এছাড়া গোরু, ছাগল মাঠে বাঁধা থাকে। গত পরশু একটি ছাগলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সকলে মনে করেছিল শেয়ালে নিয়ে গিয়েছে। গতকাল সেটা ভুল প্রমাণিত হয়।” প্রকাশ্যে চিতাটিকে দেখা যায় বলেও দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি, এই কৃষিকাজের এলাকা থেকে চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হোক। এলাকার মানুষের রাতের ঘুম উড়েছে বলে জানান তিনি। তবে বন দফতরের তরফে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেও জানান তিনি৷
আর এক স্থানীয় বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন সরকারের দাবি, তিনি জমিতে কাজ করছিলেন। পাশেই একটা গোরু বাঁধা ছিল। হঠাৎ করেই গোরুটি খুঁটো সমেত ছুটে যায় এবং জঙ্গলের দিকে বারে বারে তাকাতে থাকে। মনে হয়েছিল গোরুটি জঙ্গলে কিছু দেখেছে। তিনি দাবি করেন, আজ নদীর চরে পায়ের ছাপ দেখে মনে হচ্ছে বাঘের ছাপ সেটি। গত পরশুও একটি ছাগল নিয়ে যায়৷ স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী দক্ষনাথ রায়ের দাবি, বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হলে তারা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছন এবং প্রাণীটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।