শোভাযাত্রায় পুজো উদ্যোক্তারা কে, কেমন চমক দেয় তা দেখতে বেলডাঙা শহরের রাস্তার দু’পাশে প্রায় দেড় লাখ মানুষের সমাগম হয়। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে বেলডাঙায় কার্তিক পুজোর সূচনা পর্ব থেকেই কার্তিক লড়াই হয়ে আসছে বলেই স্থানীয় ইতিহাস প্রমাণ দিয়ে আসছে। আর এই কার্তিক লড়াইয়ে শুধু কার্তিক নয়, থাকেন শিব, কমলেকামিনী (লক্ষ্মী)। বাথানগড়েই রয়েছে সব থেকে প্রাচীন বুড়ো শিব সহ বেশ কয়েকটি শিব।
পুলিশ সূত্রে খবর, এবার বেলডাঙায় (Beldanga) ৫২ টি বড় পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যদিও স্থানীয় মানুষের দাবি, এবার প্রায় ৭৫ টি পুজো রয়েছে বেলডাঙায়। এরমধ্যে অন্যতম বড় পুজোগুলি হল বাথানগড়ের বুড়ো শিব, বেনিয়াপাড়ার বাবু কার্তিক, রাজা কার্তিক, হাতি কার্তিক, নেতাজি পার্কের কমলেকামিনী। বড় পুজোর প্রতিমার প্রত্যেকটির উচ্চতা ১৪-১৬ ফুট উচ্চতার হয়। বিশাল উচ্চতার প্রতিমা বাদ্য-বাজনা সহ শোভাযাত্রায় অংশ নেয় উদ্যোক্তারা। সদর মহকুমা শাসক প্রভাত চট্টোপাধ্যায় জানান, এবার বিসর্জনে ডিজে বাজানো যাবে না।কার্তিক লড়াই মোকাবিলায় ইতিমধ্যে বার কয়েক প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক হয়েছে। পুরসভার প্রতিনিধি সহ সেই বৈঠকে উদ্যোক্তাদের ডাকা হয়েছিল। দুর্ঘটনা এড়াতে শহরের রাস্তার দু’পাশের খোলা নিকাশি নালা ইতিমধ্যে কাঠের পাটাতন দিয়ে ঢেকে ফেলা হয়েছে।
‘কার্তিক লড়াই’য়ে মোতায়েন থাকছে আটশোজন পুলিশ কর্মী। প্রধান রাস্তার উপর মূল মঞ্চ থেকে শোভাযাত্রায় নজরদারির পাশাপাশি জল, মিষ্টি দেওয়া হবে। প্রতিমা ও শোভাযাত্রার চমকের নিরিখে বিচার করে তিনটি পুরস্কার ঘোষনা করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বেলডাঙা পুরসভার চেয়ারপার্সন অনুরাধা হাজরা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বেলডাঙার কার্তিক লড়াই জেলাবাসীর কাছে ঐতিহ্যের। কার্তিক লড়াই সামাল দিতে পুরকর্মীরাও হাজির থাকছেন। যাতে শোভাযাত্রায় কোনও বিশৃঙ্খলা না হয় সেদিকে আমাদের নজর থাকছে।”