স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিয়াচক থেকে বাড়ি ফেরার পথে নাজিবুল শেখকে লক্ষ্য করে গুলি করে এলাকারই কিছু দুষ্কৃতীরা। পায়ে গুলি লাগে নাজিমুলের। কয়েকজন দুষ্কৃতী মিলে নাজিমুল নামে ওই ব্যবসায়ীকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে আহত ব্যক্তি। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে নাজিবুলকে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Malda Hospital) ভর্তি করে। পঞ্চায়েত অফিসের সামনেই এরকম গুলি চালনার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। আহত নাজিবুল বলেন, “ওখানে কয়েকজন আছে, যারা অসামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত। ওরা আমায় টার্গেট করেছিল। আমাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে প্রায় ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি চালায়। একটা আমার পায়ে লাগে।” তবে এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক বিবাদ নেই বলে জানায় নাজিবুল।
জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান কালিয়াচক থানার পুলিশের। ঘটনার তদন্ত আরম্ভ করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। কালিয়াচক ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এমডি আলী হুসেন বলেন, “শুনলাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে। জমি সংক্রান্ত কোনও বিবাদ নয়। এটা ওদের পারিবারিক বিবাদের কারণেই হয়েছে। যারা এরকমভাবে গুলি চালিয়েছে, তারা পরিবারের লোকজন। আমরা বিষয়টা পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।”
তবে, গুলি চালনার ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এমনিতেই রাজনৈতিক ভাবে উত্তপ্ত জেলার একাধিক অঞ্চল। তার মধ্যে পঞ্চায়েত অফিসের সামনেই এরকম শ্যুট আউটের ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসেই প্রকাশ্যে শ্যুট আউটের ঘটনা ঘটে মালদার ইংরেজ বাজারে। ঘটনাটি ঘটেছে ইংরেজবাজার থানার (English Bazar Police Station) নঘরিয়া গ্রামে। বাড়িতে বসে গল্প করার সময় এক বন্ধুকে গুলি করে আরেক বন্ধু। তবে কী কারণে দুই বন্ধুর মধ্যে বচসা সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। ঘটনার সময় দুই বন্ধু মদ্যপান করছিলেন। গল্প করার সময়ই দুজনের মধ্যে কোনও কারণে বচসা বাধে। এরপরেই রকি গুলি চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।