এমনকি শাসকদলকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত ভোট ওরা করতে দেবে না। পশ্চিমবঙ্গে কোনও আইন-শৃঙ্খলা নেই কারণ ওরা বুঝে গিয়েছে মানুষ ভোট দিতে পারলে ওরা হারবে।” শুধু পঞ্চায়েত নির্বাচন নয়, রাজ্যের ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন এই প্রবীণ CPIM নেতা৷ বলেন, “রাজ্যে কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। প্রশাসন আছে মূলত অপরাধীদের রক্ষা করার জন্য, সাধারণ মানুষের রক্ষা করার জন্য নয়৷ ডেঙ্গির প্রতিরোধ করার জন্য যেভাবে লোক নিয়োগ করা দরকার সেটুকু রাজ্য সরকার করছে না। ভান্ডার শূন্য৷ পরিষেবা দেওয়ার জন্য টাকা তারা বিজ্ঞাপন খরচ করেছে৷ উৎসবে খরচ করেছে, তারই পরিণতি৷” তাঁর দাবি, ডেঙ্গির জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেনি, ওরা ব্যস্ত ছিল আত্মপ্রচারে৷
কলকাতা শহরে অনিয়ন্ত্রতভাবে হকারের সংখ্যা বাড়তে থাকা নিয়ে পুলিশের দিকে আঙুল তোলা এবং পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে ফিরহাদ হাকিমের চিঠি দেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “বহুদিন পর ফিরহাদ হাকিম এই সত্যিটা স্বীকার করলেন, ওর বলা উচিত ছিল, পুলিশ নয়, পুলিশমন্ত্রীর মদতে এই হকাররা বসছে বেআইনিভাবে৷ যেটা বলতে ও ভয় পাচ্ছে৷” অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যেই দ্বৈরথ প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খোলেন তিনি৷ বলেন, “দুই চোরে যখন ঝগড়া হয়, তখন এরকমই হয়।” রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জন্য রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরির ক্ষমা চাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিকাশবাবু৷ জনগণের থাপ্পড় খেয়ে ভয় পেয়ে ক্ষমা চেয়েছেন বলেই দাবি করেন তিনি৷
শনিবার সারা ভারত আইনজীবী সংগঠনের রাজ্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকের সুবর্ণজয়ন্তী হলঘরে। শনিবারে সকালে আইনজীবীদের উপস্থিতিতে সংগঠনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সংগঠনের নেতৃত্বরা শহিদ বেদিতে মাল্যদানের পরেই শুরু হয় রাজ্য সম্মেলন। এই সম্মেলন চলবে দু’দিন ধরে। এই সম্মেলনে মূলত ধর্ম নিরপক্ষতা, ন্যায়, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র নিয়ে আলোচনা হয়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ও আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, সমাজকর্মী তিস্তা শীতলাবাদ এবং সংগঠনের নেতৃত্বরা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা আইনজীবীরা।