Kolkata Metro : তিন মাসে মেট্রো চলবে জোকার বেগুনি লাইনে – joka to taratala metro start very soon


এই সময় : কলকাতা মেট্রোর লাইন-থ্রি অর্থাৎ জোকা-তারাতলা অংশে বাণিজ্যিক ভাবে যাত্রী পরিবহণ শুধুই সময়ের অপেক্ষা। শুক্রবার সকালে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির অনুমোদন আসার পর এই তথ্য জানিয়েছেন সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা। ১০ নভেম্বর কলকাতা মেট্রোর পার্পল লাইনের ৬.৪৯ কিলোমিটার অংশ পরিদর্শন করতে আসেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস) মহম্মদ লতিফ খান। পরিদর্শনের আট দিনের মাথায় জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত ছ’টি স্টেশনের মধ্যে যাত্রী পরিবহণের অনুমতি এল তাঁর দপ্তর থেকে।

Indian Railways: জেনারেল টিকিটের যাত্রীদের জন্য সুখবর! বড় সিদ্ধান্ত রেলের
দীর্ঘদিন ধরে ডায়মন্ড হারবার রোড বরাবর কলকাতা মেট্রোর লাইন-থ্রির কাজ চলার ফলে বেহালার বাসিন্দাদের ভোগান্তি চরমে উঠেছিল। সেই পরিস্থিতির কতটা সুরাহা হয় সামনের কিছুদিনের মধ্যেই সেটা স্পষ্ট হতে চলেছে। শুক্রবার সকালেই জোকা-তারাতলা রুটে মেট্রো চলাচলের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন এসেছে সিআরএস দপ্তর থেকে। এই অনুমোদনের ফলে ১৮ নভেম্বর থেকে তিন মাস বা ৯০ দিনের মধ্যে নয়া এই রুটে মেট্রোয় যাত্রী পরিবহণ পরিষেবা চালু করে দিতে হবে। অনুমোদন মিলেছে, তবে শর্ত-সাপেক্ষে। প্রায় সাড়ে ছ’কিলোমিটার দীর্ঘ এই রুটে এখনও পর্যন্ত কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল (সিবিটিসি) ব্যবস্থা বসানো হয়নি। এর ফলে একসঙ্গে দু’টো লাইন আপাতত ব্যবহার করা যাবে না। একটি মাত্র লাইনে একটি ট্রেন যাত্রীদের নিয়ে জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত আসার এবং ওই ট্রেনটিই ফের তারাতলা থেকে জোকা পর্যন্ত যাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে।

Kolkata Metro : কলকাতা মেট্রোয় ‘শাওয়ার’, থইথই করছে জল? ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে মুখ খুলল কর্তৃপক্ষ
কলকাতা মেট্রোর জিএম অরুণ অরোরা ২০২২ শেষ হওয়ার আগেই পার্পল লাইনে ট্রেন চালু করে দেওয়ার বিষয়ে জোর দিচ্ছিলেন। সিআরএস অনুমোদন পাওয়ার পর তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এই রুটে যাত্রী পরিবহণ এবার শুধুই সময়ের অপেক্ষা।”

Kolkata Metro: লক্ষ্মীর পুজোর দিনে মেট্রোয় ঝাঁপ, আশ্চর্যজনকভাবে রক্ষা বৃদ্ধার
কলকাতা মেট্রোরেল জানাচ্ছে, জোকা থেকে তারাতলা পর্যন্ত অংশে জোকা, ঠাকুরপুকুর, শখেরবাজার, বেহালা চৌরাস্তা, বেহালা বাজার এবং তারাতলা স্টেশন রয়েছে। প্রতিটা স্টেশনেই যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য সাতটি এসকালেটর, আটটি সিঁড়ি এবং চারটি লিফট থাকছে। প্রতি লিফটে একসঙ্গে ১৩ জন যাত্রী উঠতে পারবেন। সিআরএস-এর নির্দেশ অনুযায়ী যাত্রী পরিষেবা শুরু করার আগে প্রতিটি স্টেশনে যথেষ্ট পরিমাণে বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি – এই তিন ভাষায় আপৎকালীন পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ের নির্দেশিকা লাগাতে হবে। অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার উপর বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিআরএস-এর অনুমোদন পত্রে। যাত্রী পরিবহণের আগে সিভিল, বৈদ্যুতিক এবং বৈদ্যুতিন – সব রকমের প্রযুক্তিগত কাজ পুরোপুরি শেষ করে স্টেশনগুলোকে যাত্রীদের জন্য পুরোপুরি নিরাপদ করে ফেলার নির্দেশও দিয়েছেন কমিশনার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *