Santiniketan Poush Mela : শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা (Santiniketan Poush Mela) আয়োজন নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। জেলা প্রশাসনকে বৈঠকে যোগ দিতে চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। বৈঠক হওয়ার কথা ২৬ নভেম্বর।

হাইলাইটস
- শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের
- জেলা প্রশাসনকে জরুরি বৈঠকে আহ্বান করে চিঠি দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী
- আগামী ২৬ নভেম্বর সেই বৈঠক হওয়ার কথা
পৌষমেলা নিয়ে সংশয়
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে ২০২০ ও ২০২১ সালে পৌষমেলার আয়োজন করেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। ফলে গত দু’বছর জেলা পরিষদের ডাকবাংলো ময়দানে বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করা হয়েছিল জেলা প্রশাসনের তরফে। তবে অনেকেই ভেবেছিলেন এবার যেহেতু করোনা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে তাই পূর্বপল্লির মাঠেই এই মেলার আয়োজন করা হবে। এনিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দা সকলেই। কিন্তু, এই মুহূর্তে পূর্বপল্লি মেলার মাঠ সংলগ্ন বিশ্বভারতীর জলাশয়গুলি কচুরিপানায় পূর্ণ হয়ে রয়েছে। ফলে জল ছাড়া মেলা আয়োজন সম্ভব নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয় শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট (Santiniketan Trust)। পাশাপাশি মেলার আয়োজনের জন্য বোলপুর পুরসভাকে (Bolpur Municipality) তারা এগিয়ে আসতে বলে। এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নির্দেশে গত ৯ নভেম্বর বিশ্বভারতীকে একটি চিঠি দিয়েছিল বোলপুর পুরসভা। একই দাবিতে শান্তিনিকেতন পৌষমেলা বাঁচাও কমিটিও দু’বার চিঠি দিয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু, বিশ্বভারতীর তরফে কোনও সাড়া না পাওয়ায় পূর্বপল্লির মাঠে পৌষমেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
পুরসভা ও বিশ্বভারতীর বৈঠক
তবে গত ১৬ নভেম্বর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ ও তাঁর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেদিন বিশ্বভারতীর উপাচার্য অনুপস্থিত ছিলেন বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। মূলত ২০১৯ সালের পৌষমেলায় যে সব সমস্যা তৈরি হয়েছিল, সেগুলি কীভাবে সমাধান করা যায় তা নিয়েই ওইদিন আলোচনা হয়। এরপর শুক্রবার উপাচার্যের নির্দেশে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব অশোক মাহাত জরুরি বৈঠকে বসতে চেয়ে জেলা প্রশাসনকে একটি চিঠি লেখেন। প্রশাসনের ১২ জন আধিকারিককে লেখা ওই চিঠিতে আগামী ২৬ নভেম্বর ওই জরুরি বৈঠকে যোগ দিতে অনুরোধ করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। শান্তিনিকেতনের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির কনফারেন্স হলে বৈঠকটি হওয়ার কথা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। ওই বৈঠকে আসার জন্য মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী, বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ সহ মোট ১২ জনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
পৌষমেলা নিয়ে মিটতে পারে সমস্যা
বিশ্বভারতীর এই ভূমিকাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করে পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ বলেন,” আমরা সকলেই চাই পৌষমেলা পূর্বপল্লির মাঠেই হোক। তার জন্য যা করণীয় আমরা করব।” শান্তিনিকেতন কর্মী পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, “পৌষমেলার ঐতিহ্য রক্ষা করতে দু’ পক্ষেরই ভূমিকা অপরিসীম। অতীত দিনের সমস্যা সমাধান করে প্রশাসন যদি এগিয়ে আসে তাহলে বিশ্বভারতী পরিবারও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।” মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, “চিঠি হাতে পেয়েছি। পৌষমেলার ঐতিহ্য রক্ষা করতে রাজ্য সরকারের তরফে সব রকম সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করব।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ