পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি, ওন্দায় সরব বিজেপি বিধায়ক


মৃত্যুঞ্জয় দাস: পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই কি পৃথক রাঢ়বঙ্গের দাবি জোরাল হচ্ছে! বাঁকুড়ার ওন্দায় সভা করতে গিয়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে জোর সওয়াল করেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক। এনিয়ে পাল্টা সরব হল তৃণমূল কংগ্রেস। গত কয়েকদিন আগে কলকাতায় বাঁকুড়ার পাঁচ বিধায়ক পৃথক রাঢ়বঙ্গ রাজ্যের দাবি তোলেন। এবার ওন্দার মুড়াকাটা গ্রামে সভা করতে গিয়ে সেই একই দাবিতে সওয়াল করলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা।

আরও পড়ুন- ‘আমি গভীর ভাবে শোকার্ত; তাঁর অকাল-প্রয়াণে অভিনয় জগতের বড় ক্ষতি’ ঐন্দ্রিলার মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী 

বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ পশ্চিমের জেলাগুলিকে নিয়ে প্রথম রাঢ়বঙ্গ নামের পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এরপর থেকেই ক্রমশ জোরাল হতে থাকে পৃথক রাঢ় বঙ্গের দাবি। সম্প্রতি কলকাতায় বাঁকুড়ার পাঁচ বিধায়ক ফের এই দাবি তোলেন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ময়দানে নেমে মানুষের মধ্যে সেই দাবিকে ছড়িয়ে দিতে সক্রিয় হলেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা।

শনিবার সন্ধেয় বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের মুড়াকাটা গ্রামে দলীয় একটি সভায় যোগ দিয়ে রাঢ়বঙ্গের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে পৃথক রাঢ়বঙ্গ রাজ্যের দাবিতে সরব হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষকে সরব হওয়ার আহ্বান জানান। তাঁর অভিযোগ  রাঢ়বঙ্গ সম্পদে সমৃদ্ধ হলেও সেই সম্পদ সোজা চলে যাচ্ছে কালীঘাটে। দশকের পর দশক ধরে বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন রাঢ়বঙ্গের মানুষ। রাজ্যে ক্ষমতায় এলে পৃথক রাজ্য তৈরীর ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথাও জানিয়েছেন বিধায়ক। বিজেপি বিধায়কের এই দাবিকে যুক্তিহীন পাগলের প্রলাপ বলে কটাক্ষ করেছে তৃনমূল।

এদিনের সভায় অমরনাথ বলেন, ক্রমাগত বঞ্চিত হয়েছি আমার। এই জন্য আমাদের দাবি আলাদা রাজ্যের। রাজ্যে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনলে তবেই পৃথক রাজ্য সম্ভব। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যকে আর বাংলা হিসেবে রাখবে না। এটাকে বাংলাদেশ বানিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। আপনারা যদি রুখে না দাঁড়ান তাহলে আজকের বাচ্চারা আপনাদের দিকে আঙুল তুলবে। 

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *