Baruipur Incident : বারুইপুরে নৌসেনা কর্মীর দেহাংশ উদ্ধারের পর থেকেই ঘনীভূত হয় রহস্য। এই ঘটনায় নৌসেনা কর্মীর স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও উজ্জ্বল চক্রবর্তীর স্বভাবের জন্যই তাঁর এই করুণ পরিণতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।

হাইলাইটস
- খুনের পর মৃতদেহ করাত দিয়ে কেটে বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ
- এই ঘটনায় প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
- উজ্জ্বল চক্রবর্তীর স্বভাবের জন্যই তাঁর এই করুণ পরিণতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা
কী বলছেন প্রতিবেশীরা?
পাড়ায় বহু বছর ধরে বাস হলেও প্রতিবেশীদের সঙ্গে কোনও কথাই বলতেন না উজ্জ্বল চক্রবর্তী। এ প্রসঙ্গে তুষার সর্দার নামে এক প্রতিবেশী বলেন, “উজ্জ্বলবাবু মনে করতেন পাড়ার ২৬টা পরিবারের মধ্যে একমাত্র তাঁর পরিবারই ভালো। তাই বাকিদের সঙ্গে কথাও বলতেন না। আর যে ঘটনা ঘটেছে সেই বিষবৃক্ষটি উজ্জ্বল নিজেই তৈরি করেছিলেন। তাঁর ছেলে যখন ছোট ছিল তখন পাড়ায় খেলাধুলো করত। আর সেটা করতে গেলে তো একটু মারপিট হয়েই। তো তখন থেকেই ছেলেকে শেখাত যে খালি হাতে মারপিট করার সময় শত্রুর কোথায় আঘাত করা উচিত। সেখানে আঘাত করলেই শক্র মরে যেতে পারে। আমরা সেটা দেখেছি। কোনও বাবা নিজের ছেলেকে এসব শেখায় কি? এমনকী, জয়ের মাও তাকে নৃশংসতার ট্রেনিং দিত।”
অলোক মুখোপাধ্যায় নামে আরও এক প্রতিবেশী বলেন, “শুধুমাত্র দিল্লিতে নয় বাংলাতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। এর আমরা সুবিচার আশা করি। আর ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের কোনও ঘটনা না ঘটে সেই বিষয়ে প্রশাসনকেও দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা এই ঘটনার বিষয়টি টেরই পাইনি। তবে শুধুমাত্র পরীক্ষার ফি দেওয়া নিয়ে যে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে এটা মানতে পারছি না।”
কী ভাবে খুন করা হয়েছিল উজ্জ্বলকে?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, করাত দিয়ে কেটে মৃতদেহটিকে ছয় টুকরো করা হয়েছিল। তবে মৃতদেহের বাকি অংশ পাওয়া গেলেও, কোমর ও পা এখনও পাওয়া যায়নি। ধৃত যুবককে সঙ্গে নিয়েই পুলিশ মৃতদেহের বাকি অংশগুলির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। যদিও বাবাকে খুন করার নেপথ্যে কী কারণ ছিল? তা জেরায় পুলিশকে জয় জানিয়েছে, পরীক্ষার ফি দেওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল বাধে বাবা ও ছেলের মধ্যে। বাবার কাছ থেকে পরীক্ষার ফি বাবদ তিন হাজার টাকা চেয়েছিল জয় চক্রবর্তী। সেই সময় মদ্যপ অবস্থায় উজ্জ্বলবাবু ছেলেকে মারধর করেন। বাবাকে পালটা ধাক্কা দেয় ছেলে জয়। তাতেই উজ্জ্বলবাবু পড়ে গেলে, তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই মৃতদেহ লোপাটের পরিকল্পনা করে মা ও ছেলে। বাড়িতেই থাকা করাত দিয়ে মৃতদেহ ছয় টুকরো করা হয়। তারপর সেগুলি বস্তাবন্দি করে সাইকেলে চাপিয়ে দেহের বিভিন্ন অংশ নানান জায়গায় ফেলে আসে বলে অভিযোগ।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ