উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই সিপিএমের পক্ষ থেকে একটি পদযাত্রার ডাক দেওয়া হয়েছিল গোপালপুর গ্রামে। সেই পদযাত্রায় মাড়গ্রাম থানা এলাকার বাসিন্দা শিখা লেট নামে এক বৃদ্ধা মহিলা হাতে লাল ঝাণ্ডা নিয়ে পদযাত্রায় পা মিলিয়ে ছিলেন। ঠিক তার দুইদিন পর তাঁর বড় ছেলে বিধান লেট যিনি বর্তমানে দুনিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তিনি মারধর করেন মাকে বলে অভিযোগ। মারধরের কারণে গুরুতর আহত হন ওই বৃদ্ধা মহিলা।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার দুপুরে। বীরভূমের (Birbhum) মাড়্গ্রাম থানার দুনিগ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুর গ্রামের CPIM গত বৃহস্পতিবার ‘চোর তাড়াও, গ্রাম জাগাও’ পদযাত্রা আয়োজন করে। তাতে স্বামী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে সামিল হয়েছিলেন শিখা লেট। শিখা লেটের বড় ছেলে বিধান লেটের তাতে চক্ষুশূল হয়। পরে মাকে আচমকা মারধর শুরু করে সে। মদ্যপ অবস্থায় এই মারধর করা হয়েছ বলেই অভিযোগ মায়ের। ছেলের হাতে মার খাওয়ার পর যন্ত্রনায় কাতরাতে কাতরাতে মাড়্গ্রাম থানায় হাজির হন শিখা লেট। সঙ্গে পান গাঁয়ের অনেককেই। থানায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে বৃদ্ধা বলেন, ”লাল ঝাণ্ডার মিছিল গিয়েছিলাম। এরজন্যই আমার বড় ছেলে আমার গলা টিপে ধরে, লাথি মারে। তারপর তুলে আছাড় মারে। আমার কোমড়, পায়ে খুব যন্ত্রনা করছে। আমি দাঁড়াতে পারছি না। সোজা হতে পারছি না।” বৃদ্ধা আরও বলেন, ”ছেলে আমার সঙ্গে থাকে না। আমাকে দেখেও না। আমার তিন বিঘা সম্পত্তিও নিয়ে নিয়েছে আগেই।”
যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বিধান লেটের দাবি, ”সিপিএম-তৃণমূলের কোনও ব্যাপারই নয়। আমার বউয়ের সঙ্গে অশান্তি হচ্ছিল মায়ের। আমি দু’জনকেই বকাবকি করে চুপ করতে বলি। তারপর হয়ত মা ঘরে ঢুকতে গিয়ে পড়ে গিয়েছে। মা মিছিল করেছে আমি জানিই না।” জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ”অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”