ক্ষুদিরাম পল্লী এলাকায় বিভিন্ন ঝোপঝাড় এবং পুকুরের ধারে তল্লাশি চালান। এরপর হঠাৎ ঐ এলাকার অনতিদূরেই পার্শ্ববর্তী রেজিস্ট্রি অফিস পাড়া এলাকায় একটি চিতাবাঘ দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেন এক ব্যক্তি। তড়িঘড়ি ওই এলাকায় গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। কিন্তু সেখানেও চিতা বাঘের কোনও অস্তিত্ব মেলেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা সন্তোষ রায় বলেন, ” আমার স্ত্রী,মেয়ে আসার জন্য বাড়ির গেট খুলতে যায়। তখনই লক্ষ্য করে বড় বাঘের মতো একটা প্রাণী রাস্তা পেরিয়ে গেল। আমাদের পাশের বাড়ির এক যুবকও প্রাণীটিকে দেখতে পায়। এরপর আমাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। আমরা বন দফতরে এবং পুলিশকে খবর দিই। ওঁরা সার্চ করে দেখছে।” বন দফতরের পক্ষ থেকে এদিন রেঞ্জার অফিসার এলাকাবাসীকে সচেতন করে জানান, চিতাবাঘের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলে বা কোনও সন্দেহ হলে তৎক্ষনাৎ বনকর্মীদের ফোন করতে বলা হয়। এদিন বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে চিতাবাঘের কোনও হদিশ মেলেনি। বাঘের পায়ের ছাপ খোঁজার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এখনও কিছু স্পষ্ট নয়।
তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে চিতাবাঘ না হলেও এটি একটি জঙ্গল ক্যাট নামক প্রাণী হতে পারে। লুপ্তপ্রায় প্রজাতির এই প্রাণীর দেখা মিলছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায়। যাকে ঘিরে একশ্রেণীর মানুষ চিতা বাঘের আতঙ্ক বলে প্রচার করছেন। তার ফলে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ধূপগুড়িতে। তবে যে প্রাণীটি দেখা গিয়েছে, সেটা বাঘ না বন বিড়াল সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।