ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটা থানার (Haringhata Police Station) নিমতলা রুস্তম নগরে। স্থানীয় অঞ্চলের ওই বাসিন্দা শরিফ উদ্দিন মণ্ডলের আনুমানিক বয়স ৫৫ বছর। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকা থেকে দুটি গাড়ি করে ফুরফুরা শরীফের উদ্দেশ্যে যায় কিছু স্থানীয় বাসিন্দা। পরিবারের সবাই ভেবেছিলেন, তিনিও ওই গাড়িতে গিয়েছেন। কিন্তু যখন সদস্যরা জানতে পারেন, তাঁদের সঙ্গে মৃত ওই ব্যক্তি যাননি, তখন পরিবারের সদস্যরা খোঁজ করতে শুরু করে দেন। এরপরই পরিবারের সদস্যরা গতকাল বিকেলে তিনটের সময় তাঁদেরই বাবার কবরস্থানের পাশে পড়ে থাকতে দেখেন শরিফ উদ্দিন মণ্ডলকে।
পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, ফুরফুরার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া যাত্রীদের নির্দিষ্ট স্থানে নামিয়ে দিয়ে আসার পর গাড়িগুলো ফেরত এলে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাড়ির লোকজন। তখন জানা যায়, ওই যাত্রী দলের সঙ্গে শরিফ যাননি। স্থানীয় একটি কবরস্থানের পাশে একটি বাঁশ বাগানে খোঁজ নেওয়া হয়। শরিফ মাঝেমধ্যেই ওই বাগানে কাজের প্রয়োজনে বাঁশ কাটতে যেত বলে খোঁজ নিয়ে দেখা হয়। সেখানেই কবরস্থানের পাশে ওঁর দেহ পাওয়া যায়। দেহের পাশে একটি কাটারি পড়েছিল বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
খবর দেওয়া হয় হরিণঘাটা থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়নাতদন্তের জন্য। তবে এই মৃত্যুর পিছনে রয়েছে ধোঁয়াশা। পরিবারের সদস্যরা বুঝে উঠতে পারছেন না মৃত্যুর রহস্য। তবে পরিবারের লোকদের প্রাথমিক ধারণা, কেউ ওঁকে মেরে দেহ ফেলে রেখে চম্পট দিয়েছে। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা জানানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রমাণাদি জোগাড় করে গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিণঘাটা থানার পুলিশ।