বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে মূলত এলাকার প্রাকৃতিক সম্পদ পাচারের অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি বিধায়ক। বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে প্রচুর পরিমাণ গাছ, কয়লা, পাথর বিভিন্ন জায়গায় পাচার হচ্ছে, শাসক দলের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ” আমাদের ওখানে প্রাকৃতিক সম্পদ চুরি হচ্ছে, সরকারি গাছ কোটি কোটি টাকায় পাচার হয়ে যাচ্ছে। বোল্ডার খাদান থেকে বোল্ডার পাচার হচ্ছে তৃণমূল নেতাদের সহযোগিতায়। এখনকার রাস্তায় মোরাম পড়ে না। আপনারা জানেন, কয়লা পাচার হয়ে যাচ্ছে অন্যত্র।”
এমনকী আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই সরকার বদল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও শোনা যায় বিজেপি বিধায়কের মুখে। প্রসঙ্গত, এর আগে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ পশ্চিমের জেলাগুলিকে নিয়ে প্রথম রাঢ়বঙ্গ নামের পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এরপর থেকেই ক্রমশ জোরাল হতে থাকে পৃথক রাঢ় বঙ্গের দাবি। সম্প্রতি কলকাতায় বিজেপির সাংগঠনিক সভায় বাঁকুড়ার পাঁচ বিধায়ক ফের এই দাবি তোলেন। এবার ওন্দার মুড়াকাটা গ্রামে সভা করতে গিয়ে সেই একই দাবিতে সওয়াল করলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। ফের একই সুর শোনা গেল বিজেপি বিধায়কের গলাতেও। যা নিয়ে জেলায় শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
তবে বিষয়টিতে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তাঁর মতে,”কোনও ইস্যুতে বলার সুযোগ না পেয়ে এসব কথা বলছেন বিজেপি বিধায়ক। বাংলায় বিজেপির থাকার অধিকার আছে কিনা সেটা সাধারণ মানুষ স্থির করবে।”