তৃণমূল সূত্রে খবর, ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২৫০০ বুথকে ছুঁয়ে যাবে। রবিবার ২০ নভেম্বর কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। টানা দু’মাস এই কর্মসূচি চলবে। প্রতিদিন ১০-১৫ কিমি পদযাত্রা হবে। অঞ্চল ও বুথে বুথে পদযাত্রা হবে। যেদিন যে বিধানসভা কেন্দ্রে পদযাত্রা হবে, সেদিন সেখানকার নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবে। কোচবিহারে অনেকটা পোক্ত গেরুয়া শিবির। নিজেদের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব মিটিয়ে জমি শক্ত করতেই রাস্তায় নামছে শাসক দল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে।
রবিবার সকালে কোচবিহার চকচকা হরিমন্দির এলাকা থেকে প্রথম পর্যায়ের এই পদযাত্রা বের করে তৃণমূল কংগ্রেস। বঙ্গভঙ্গর বিরুদ্ধে ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের (Nisith Pramanik) পদত্যাগের দাবিকে সামনে রেখে এক হাজার কিলোমিটার এই পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। এদিন সকালে কোচবিহার চকচকা হরিমন্দির এলাকা থেকে এই পদযাত্রা বের হয়। উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান গিরীন্দ্রনাথ বর্মন, প্রাক্তন মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন থেকে শুরু করে তৃণমূল অন্যান্য নেতৃত্বরা। প্রথম পর্যায়ের এই পদযাত্রা চকচকা থেকে বের হয়ে রবিবার মারুগঞ্জে গিয়ে শেষ হবে।
কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “বঙ্গভঙ্গের চক্রান্তের বিরুদ্ধে এবং কোচবিহারের লজ্জা আমাদের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের পদত্যাগের দাবি নিয়ে এই পদযাত্রা বের করা হয়েছে । পদযাত্রা প্রথম পর্যায়ে শুরু হল। আজ থেকে এক হাজার কিলোমিটার কোচবিহার জেলার ১২৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েত পরিক্রমা করবে।” তবে এই পদযাত্রা আমল দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “তাঁরা নিজেদের ঘর আগে সামলাক। বহু নেতা ইতিমধ্যে জেলে গিয়েছে। আরও অনেকে জেলে যাবেন।” বিজেপির দাবি, তাঁদের এই পদযাত্রা নকল করা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল পদযাত্রা করছেন, তার কারণ তাঁরা বুঝে গিয়েছেন, তাঁদের কাছ থেকে মানুষ সরে গিয়েছে। তাই তাঁরা পদযাত্রা করে মানুষকে সামনে টানতে চাইছেন।