নেদারল্যান্ডস: ২ (‘৮৪ কোডি গাকপো, ‘৯০ ডেভি ক্লাসেন)
সেনেগাল: ০
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোমবারের প্রথম ম্যাচে গোল উৎসব দেখেছে ফুটবল ভক্তরা। ইরানকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা গেল তাঁর উল্টো চিত্র। সেনেগাল বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ বড্ড ম্যাড়ম্যাড়ে। একটা সময় মনে হচ্ছিল গোলশূন্যভাবে শেষ হবে ম্যাচ। তবে ৮৪ মিনিটে কোডি গাকপোর হেড থেকে গোলের পর ৯০ মিনিটে ডেভি ক্লাসেনের গোল, ডাচ ব্রিগেড ও দলের হেড কোচ লুই ভ্যান গালের মুখে হাসি এনে দিল। গাপকোর হেড থেকে আসা গোলের পর ফিরতি বলে ক্লাসেনের গোলে পশ্চিম আফ্রিকার দলের বিরুদ্ধে ২-০ গোলে জয় পেল অরেঞ্জ আর্মি। তবে হারলেও সেনেগালের লড়াই ছিল চোখে পড়ার মতো। সাদিও মানে-র অভাব পুরো ম্যাচে অনুভব হলেও, হাল ছাড়েনি অ্যালাউ সিসে-র ছেলেরা।
এক গোলে জিতলেও ডাচদের জয়ের ব্যবধান বাড়তেই পারত। ২৯ মিনিটের ডাচদের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ফ্রাঙ্কাই দে জং হেলায় সহজ গোলের সুযোগ হারান। স্বভাবতই রক্তচাপ বেড়ে যায় লুই ভ্যান গালের দল। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে তাঁর ও মাঠে আসা অগণিত ‘অরেঞ্জ আর্মি’-র সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটালেন পিএসভি-র ২৩ বছরের উইঙ্গার। এরপর ইনজুরি টাইমে গোল করে ডাচদের ব্যবধান বাড়িয়ে দেন ২৯ বছরের মিডফিল্ডার।
আল থুমামা স্টেডিয়ামে ম্যাচটির প্রথমার্ধে বলের দখলে এগিয়ে ছিল ডাচরা। ম্যাচের ৫৪ শতাংশ নিজেদের পায়ে রাখেন ডাচ ফুটবলাররা। দখলে এগিয়ে থাকলেও আক্রমণে দু’দলই ছিল প্রায় সমানে-সমান। বিরতির আগ পর্যন্ত সেনেগাল শিবিরে পাঁচবার আক্রমণ করে নেদারল্যান্ডস। বিপরীতে ছয়বার আক্রমণে যায় সেনেগাল। কিন্তু দু’দলই লক্ষ্যে রাখতে পারেনি একটি শটও। ফলে প্রথমার্ধে মেলেনি গোলের দেখা।
প্রথম থেকে আক্রমণ করতে থাকলেও নেদারল্যান্ডসের কোনও সুযোগই যেন দানা বাঁধছিল না। উল্টে বরং মাঝে মাঝেই গতি বাড়িয়ে প্রতি আক্রমণ তুলে এনে খেলা জমিয়ে দিচ্ছিল সেনেগাল। ১৭ মিনিটে দালে ব্লিন্দের একটি হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। দু’মিনিট পরেই ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন দে জং। সামনে একা সেনেগালের গোলকিপার এদুয়ার্দ মেন্দিকে পেয়েছিলেন। কিন্তু দিয়ালো বল ক্লিয়ার করে জেন। এর পর ইসমাইলা সারের একটি শট দারুণ ভাবে হেড করে বাঁচান ডাচ অধিনায়ক ভার্জিল ফান ডাইক।
দু’দলের মধ্যেই বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল। কিন্তু কারওর তরফেই দর্শনীয় কোনও শট বা পাস দেখা গেল না। সেনেগাল বরং বল ওড়ানোর দিকে নজর দিয়েছিল বেশি। ৭৩ মিনিটে ইদ্রিসা গুয়ের একটি শট বাঁচান নেদারল্যান্ডসের গোলকিপার নোপার্ট। নেদারল্যান্ডস জয়সূচক গোল পায় খেলা শেষের ৬ মিনিট আগে। সেনেগালের বক্সে লম্বা বল ভাসিয়েছিলেন দে জং। সবার উপরে লাফিয়ে উঠে হেড করেন কোডি গাকপো। বিপক্ষ গোলকিপার এগিয়ে থাকায় বলের নাগাল পাননি।
অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষ দিকে গোল করেন ডেভি ক্লাসেন। মেম্ফিস দেপাই শট নিয়েছিলেন। মেন্দি তা প্রতিহত করলে বল যায় ক্লাসেনের কাছে। তিনি ফাঁকা গোলে বল ঠেলে দেন। ফলে তিন পয়েন্ট নিয়ে ডাচদের মাঠ ছাড়া শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা।