জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কাতার বনাম ইকুয়ে়ডর (Qatar vs Ecuador) ম্যাচ দিয়েই বিশ্বকাপের (FIFA World Cup 2022) ঢাকে কাঠি পড়েছে এবার। ইকুয়েডর ২-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আয়োজক দেশকে। জোড়া গোল করেন ইকুয়েডর ক্যাপ্টেন এনার ভ্যালেন্সিয়া। ইকুয়েডর জেতার পরেই গ্যালারিতে একদল সমর্থক বিয়ারের দাবিতে শব্দব্রহ্ম তোলেন। উই ওয়ান্ট বিয়ার, উই ওয়ান্ট বিয়ার…’ বলেই চিৎকার করতে থাকেন তাঁরা। এই ভিডিয়ো রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়।
কাতার একাধিক ফতোয়ার নাগপাশে জড়ানো একটি দেশ। নিষেধের বেড়াজালে বাঁধা এখানকার সংস্কৃতি থেকে সমপ্রেম। পোশাক থেকে শুরু করে মদ্যপান! স্বাধীনতা শব্দটা এখানে বেমানান। কাতারের স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার সময় মদ্যপান কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ। কাতারের আইনকে মান্যতা দিতে বাধ্য হয়েছে ফিফা। মাঠে বসে খেলা দেখতে দেখতে বিয়ারে চুমুক দেওয়া যাচ্ছে না। তারই প্রতিবাদ করলেন ফ্যানরা।
বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক একদিন আগে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন জিয়ানি ইনফ্যান্টিনো (Gianni Infantino)। ফিফা সভাপতি সাফ জানিয়ে দিলেন মাঠে মদ্যপান নিয়ে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার অবস্থান। ইনফ্যান্টিনো শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলাম, যাতে ফ্যানরা মাঠে বসে মদ্যপান করতে করতে খেলা দেখতে পারেন। তবে দিনের মধ্যে তিন ঘণ্টা বিয়ার ছাড়া আপনি অনায়াসে বাঁচতে পারবেন। ফ্রান্স, স্পেন, স্কটল্যান্ডের মতো দেশে স্টেডিয়ামে মদ নিষিদ্ধ। হয়তো তারা আমাদের চেয়ে বেশি বুদ্ধিমান। এটা ভেবে আমরাও করে দেখি।’
মাঠে বিয়ার থেকে ফ্যানরা বঞ্চিত থাকবেন ঠিকই। কিন্তু ফিফা ফ্যান ফেস্টিভাল চলবে। নির্দিষ্ট এলাকায় পার্টি করতে পারবেন ফ্যানরা। সেখানে থাকবে লাইভ মিউজিক ও অনান্য কার্যকলাপ। কাতারে মদ বিক্রির ব্যাপারেও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। হোটেলের বারে যদিও মদ বিক্রি হবে। ইনফ্যান্টিনো এই প্রসঙ্গে বলছেন, ‘আয়োজক দেশ ও ফিফার আলোচনার পরেই মদ বিক্রি নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফিফা ফ্যান ফেস্টিভালে মদ বিক্রি হবে। অনান্য ফ্যান ডেস্টিনেশন ও অনুমোদিত ভেন্যুতেও বিক্রি হবে। স্টেডিয়াম চত্বর থেকে তা দূরে রাখা হয়েছে।’ কিছুদিন আগে পর্যন্ত ফিফা-র তরফ থেকে বলা হয়েছিল, বেশ কিছু বিধিনিষেধ থাকলেও স্টেডিয়ামে মদ্যপান করার অনুমতি দেওয়া হবে। কিন্তু প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার মাত্র দু’দিন আগে একেবারে উলটো অবস্থান নেয় ইনফ্যান্টিনো অ্যান্ড কোং।