যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, একটি খাঁচা বসিয়ে এই অগুণতি হনুমানের উপদ্রব ঠেকানো যাবে না। এদের উপদ্রব ঠেকাতে একাধিক খাঁচা বসানোর দাবি জানান গ্রামবাসীরা। প্রয়োজন হলে একাধিক খাঁচা বসানো হবে বলে জানান বন দফতরের আধিকারিকরা৷ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত দেড়মাস ধরে বাগনান ১ নম্বর ব্লকের হিজলক ও পাতিনান এলাকায় একাধিক হনুমান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। হমুমানের দাপটে অতিষ্ঠ গ্রামবাসীরা৷ স্থানীয়দের দাবি, খাবারের খোঁজে বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দোকানে ঢুকে পড়ছে হনুমানের দল। প্রায় দেড় মাস ধরে হনুমানের দল এভাবে আক্রমণ করায় গ্রামবাসীরা সমস্যায় পড়েছেন৷ হনুমানের আতঙ্কে ঘরের বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন বাসিন্দারা। শিশুরাও বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ১৪ জন গ্রামবাসী হনুমানের আক্রমণে আহত হয়েছেন৷ আর এরপরই হনুমানের হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের দারস্থ হন বাসিন্দারা। গণস্বাক্ষর করা আবেদনপত্র নিয়ে প্রশাসনের দারস্থ হন বাসিন্দারা। সোমবার বন দফতরের কর্মীরা গ্রামে আসেন এবং একটি খাঁচা পাতেন হনুমানগুলিকে বন্দি করার উদ্দেশ্যে৷ তাদের খাঁচাবন্দি করে নির্দিষ্ট জায়গায় ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই বন দফতর সূত্রে খবর৷ যদিও একটি খাঁচা দিয়ে এই অসংখ্য হনুমানের দলকে ধরা সম্ভব নয় বলেই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ হিজলকের বাসিন্দা সুরজিৎ দাসের দাবি, হনুমানের উপদ্রব ঠেকাতে বন দফতর উদ্যোগ নিয়েছে।
সোমবার বন দফতরের পক্ষ থেকে এলাকায় একটা খাঁচা পাতা হয়েছে। তবে দলে দলে যেভাবে হনুমান গ্রাম জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, তাতে একটি খাঁচা পেতে সমস্যার সমাধান হবে না বলেই দাবি করেন সুরজিৎ দাস। এই প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া রেঞ্জের অফিসার রাজেশ মুখোপাধ্যায় জানান, হনুমানের উপদ্রব ঠেকাতে এলাকায় একটি খাঁচা পাতা হয়েছে। তবে প্রয়োজন পড়লে আরও খাঁচা পাতা হতে পারে বলেই বন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে৷