Malda Fake Doctor : হোটেলের ডেলিভারি বয় থেকে চিকিৎসক! মালদায় গ্ৰেফতার ভুয়ো ডাক্তার – malda fake doctor arrested police started interrogation


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যখন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন, তখনই মালদায় ধরা পড়ল ভুয়ো চিকিৎসক (Fake Doctor)। হোটেলের ডেলিভারি বয় থেকে একেবারে চিকিৎসক। মালদা (Malda) শহরের প্রাণকেন্দ্র এবং ডাক্তার পাড়া হিসেবে পরিচিত সিঙ্গাতলা রোড এলাকায় এক ‘ভুয়ো চিকিৎসকে’র হদিশ মিলল৷ ‘ছিল রুমাল, হয়ে গেল বিড়াল’ সুকুমার রায়ের লেখা ‘হযবরল’-এর সেই বিখ্যাত লাইনটি যেন বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে মালদার এই ঘটনা৷ অবশেষে মালদার গোয়েন্দা দফতর এবং সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ (Cyber Crime Police) অভিযান চালিয়ে ওই ‘ভুয়ো চিকিৎসক’কে গ্রেফতার করল। সোমবার দুপুরে বিষয়টি জানাজানি হতেই মালদা শহর জুড়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এবিষয়ে প্রশাসনকে সতর্ক হওয়ার পাশাপাশি এই ‘ভুয়ো চিকিৎসকে’র দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

Fake Call Centre : ফের ভুয়ো কল সেন্টারের আড়ালে প্রতারণা চক্র! বিধাননগরে গ্রেফতার ২৭
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা শহরের প্রাণকেন্দ্র এবং ডাক্তার পাড়া হিসেবে পরিচিত সিঙ্গাতলার চারমাথা মোড়ে একটি ওষুধের দোকানের পাশে ব্যক্তিগত চেম্বার খুলে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেছিল শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি। শুধু চিকিৎসকই ভুয়ো নয়, তার নামটাও ভুল বলে তদন্তে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দা কর্তারা। আরও জানা গিয়েছে, শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় আসল নাম দেব বর্মন৷ সে নলহাটির বাসিন্দা৷ আর ডা. শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের নিউরো বিশেষজ্ঞ। ওই চিকিৎসকই প্রথমে জানতে পারেন যে, তাঁর নামে মালদায় ভুয়ো চিকিৎসাকেন্দ্র খুলে একজন যুবক প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছে। গত দু’মাস ধরে ৫০০ টাকা ভিজিটের বিনিময়ে একটি ওষুধের দোকানের পাশেই নিজস্ব চেম্বার খুলে রোগী দেখার ব্যবসা চালু করার অভিযোগ তিনিই গোয়েন্দা দফতর এবং সাইবার ক্রাইম থানায় জানান।

Aindrila Sharma Update: ‘সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বেলাও তো…’, ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে ভুয়ো খবরের বিরুদ্ধে সোচ্চার অনিন্দ্য
একদিন আগে এই অভিযোগ পেয়েই নড়েচড়ে বসেন জেলা পুলিশ ও গোয়েন্দা দফতরের কর্তারা। সোমবার দুপুরে সশরীরে হাজির হন তদন্তকারী অফিসাররা। ওই ভুয়ো চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে রোগীদের ভিড় দেখে হতবাক হয়ে যান তাঁরা। এরপরই বিভিন্ন বিষয়ে তদারকি করে গ্রেফতার করা হয় ভুয়ো ওই চিকিৎসককে। এদিকে, এতদিন ধরে চিকিৎসক হিসেবে পরিষেবা নেওয়া রোগীরা ভুয়ো বলে জানার পর রীতিমতো হতভম্ব হয়ে যান। এদিন রোগীকে দেখাতে আসা এক মহিলার দাবি, একমাস ছেলেকে ওষুধ খাইয়েছেন এই চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী৷ এই ওষুধের দোকানের পরামর্শেই এই চিকিৎসকের কাছে তিনি গিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন৷

Fake Doctor : বিলেত ফেরত ডাক্তারের ভেক ধরে প্র্যাকটিস ক্লাস টু পাশের! ধরা পড়তেই হাউমাউ করে কান্না
আরও এক রোগীর দাবি, গত মাসে দেখিয়েছেন এই চিকিৎসককে৷ আর আজ তাকে দেখাতে এসে জানতে পারেন যে, এই ব্যক্তি আদতে একজন ডেলিভারি বয়৷ এই ব্যক্তিও ওষুধের দোকানটির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন৷ এই ওষুধের দোকানের কর্ণধার দেবাশিস সেন বলেন, ‘‘আমার এখানে মাঝেমধ্যেই অনেক নামজাদা চিকিৎসক নিজেদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জন্য ভাড়া নেন। দু’মাস আগে এক রিপ্রেসেন্টেটিভের মাধ্যমেই এই চিকিৎসকের সন্ধান পেয়েছিলাম। তারপর থেকে উনি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছিলেন।’’তবে ওষুধের ফার্মেসি কীসের ভিত্তিতে ওই ভুয়ো চিকিৎসককে চেম্বার খোলার জন্য ঘর ভাড়া দিয়েছেন, সেটিও তদন্ত করে দেখা দেখা হচ্ছে বলে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে৷ ধৃত ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালদা আদালতে আবেদন করার কথা জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে৷



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *